1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্টারনেটে ‘বাংলা' ডোমেইন নামের আবেদন বাংলাদেশের

২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০

ইন্টারনেটে ‘কান্ট্রি কোড টপ লেভেল ডোমেইন নেম' (সিসিটিএলডি) বা দেশের নামে ডোমেইন নামের আবেদন করেছে বাংলাদেশ৷ অনুমোদিত হলে বাংলা ভাষায় ওয়েব ঠিকানা নির্বাচন এবং বাংলায় ওয়েব ঠিকানা ব্রাউজ করা যাবে৷

https://p.dw.com/p/M7jI
বাংলাদেশর তরুণ প্রজন্ম ইন্টারনেট ব্যবহারে ঝুঁকছে দ্রুত হারেছবি: DW

এর ফলে বাংলাদেশের সব ওয়েবসাইটের নামের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে ‘.বাংলা' (ডট বাংলা)৷ যেমন এখন আমরা জার্মানির ওয়েব ঠিকানার শেষে ‘.ডিই' (ডট ডিই) বা ক্যানাডার ওয়েব ঠিকানার শেষে ‘.সিএ' (ডট সিএ) দেখতে পাই৷

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ‘ইন্টারনেট কর্পোরেশন ফর অ্যাসাইন্ড নেম এন্ড নাম্বার্স' (আইসিএএনএন)-এ আবেদন করেন৷ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মারিনা ডেল রে-তে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানটি ‘ইন্টারনেট প্রটোকল' বা ‘আইপি'র স্পেস বরাদ্দ এবং কান্ট্রিকোড বরাদ্দসহ ইন্টারনেট ব্যবস্থাপানার বহু দায়িত্ব পালন করে থাকে৷

এর আগে বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন বৈঠকে কান্ট্রিকোড এর প্রাথমিক স্ট্রিং হিসেবে ‘.বাংলা' ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ পরিবর্তনশীল স্ট্রিং হিসেবে ব্যবহৃত হবে ‘.বাংলাদেশ‘, ‘.বং', ‘.বঙ্গ', ‘.বিডি'৷

রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে হেয়ার রোডের বাসভবন যমুনা থেকে তিনি এটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে এ আবেদন জমা দেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা৷ এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় লাগবে ছয় থেকে নয় মাস৷এই বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করবে বিটিআরসি৷

এ পর্যন্ত ১৭টি দেশ তাদের মাতৃভাষাকে ডোমেইনে অন্তর্ভুক্তির আবেদন করেছে৷ চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি মিশর, রাশিয়ান ফেডারেশন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে এ বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়৷

এর ফলে বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি ত্বরান্বিত হবে বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা৷

প্রতিবেদন : মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক