1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্টারনেটে টেলিমেডিক্স সুবিধা পেতে যাচ্ছেন নেপালীরা

৫ এপ্রিল ২০১০

দরিদ্র দেশ নেপাল সাম্প্রতিক বছরগুলিতে স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে৷ শিশুমৃত্যু এবং প্রসবকালে মায়ের মৃত্যুর হার সেখানে কমে গেছে৷ বেড়েছে মানুষের আয়ু৷

https://p.dw.com/p/MnU3
১৯৭৬ সালে তোলা মাউন্ট এভারেস্ট-এর ছবিছবি: AP

নেপালে শুরু হতে যাচ্ছে ইন্টারনেট স্বাস্থ্য প্রযুক্তি সেবা৷দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য সুবিধা পৌঁছে দেয়ার নতুন পরিকল্পনার আওতায় গ্রামের রোগীরা শিগগির ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারবেন৷ নেপাল সরকার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যাবহার করে ২৫টি জেলা হাসপাতালকে রাজধানী কাঠমান্ডুর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শের জন্যে সংযুক্ত করবেন৷ এই হাসপাতালগুলোর অধিকাংশই হিমালয়ের কাছাকাছি দুর্গম এলাকায় অবস্থিত৷

নেপালে এই ধরণের প্রকল্পের জন্যে এই প্রথম ব্যয় করা হচ্ছে ৩০ মিলিয়ন রুপি বা ৪ লাখ ডলার৷ দেশটির লাখ লাখ মানুষ এখনও এমন সব এলাকায় বাস করে, যেখানে এমনকি সড়ক যোগাযোগেরও কোন উপায় নেই৷ এইসব অঞ্চল থেকে কাছাকাছি হাসপাতালে পায়ে হেঁটে যেতে সময় লাগে কয়েকদিন৷

ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে সেবা পাওয়ার এই পরিকল্পনাটি ডাক্তার মিংমার শেরপার৷ পূর্ব নেপালের এভারেস্ট অঞ্চলের প্রধান হাসপাতালটি তিনি ২৪ বছর ধরে চালাচ্ছেন৷ ঐসব গ্রামীণ অঞ্চলের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীরা যে সব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, ডাক্তার শেরপা তার সঙ্গে খুব ভালভাবেই পরিচিত৷

ডাক্তার শেরপার বয়স ৫৬৷ তিনি এখন কাঠমান্ডুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লজিস্টিকস বিভাগের পরিচালক৷ তিনি বলেন, নেপালের বেশির ভাগ মানুষই প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামগুলোতে বাস করে৷ সেখানকার ভৌগলিক অবস্থান এবং প্রচণ্ড রকমের কঠোর আবহাওয়া স্বাস্থ্য সুবিধা প্রত্যেকের কাছে পৌঁছানোর পথে একটি বড় বাধা৷ তিনি বলেন, এইসব জেলায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাওয়া কঠিন ব্যাপার৷ কেননা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা শহরে থাকতে অথবা দেশের বাইরে কাজ করতেই পছন্দ করেন৷ ডাক্তার শেরপা বলেন, তাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে টেলিমেডিসিন ব্যাবস্থা প্রচলনের৷ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশই এই ব্যাবস্থা চালু করে এগিয়েও গেছে৷ এর মধ্যে ভারতের নাম উল্লেখযোগ্য৷

Kinder in der Kooperativen-Schule von Salang in Nepal
নেপালী শিশুছবি: Beatrix Beuthner / DW

দরিদ্র দেশ নেপাল সাম্প্রতিক বছরগুলিতে স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে৷ শিশুমৃত্যু এবং প্রসবকালে মায়ের মৃত্যুর হার সেখানে কমে গেছে৷ বেড়েছে মানুষের আয়ু৷ ২০০৭ সালে সরকার স্বাস্থ্য সেবার অধিকারকে মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়৷ চালু করা হয় দরিদ্রতম মানুষদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সরবহারের নীতি৷

কিন্তু উন্নয়ন সংস্থাগুলো মনে করে, নেপালে প্রতি চারজনে প্রায় একজন এখনও একেবারে মৌলিক স্বাস্থ্য সেবা থেকেই বঞ্চিত৷ এই ফাঁক পূরণ করতেই এগিয়ে আসেন ডাক্তার শেরপা৷ তাঁরই তত্ত্বাবধানে ২৫টি হাসপাতালে স্থাপিত হয়েছে হাই স্পিড ইন্টারনেট সংযোগ৷ ভিডিও কনফারেন্সের পথ প্রশস্ত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে স্যাটেলাইট প্রযুক্তি৷

প্রতিবেদক: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক