ইটালিয় গ্রঁ প্রি জিতলেন আলোন্সো, পরাজিত বাটন
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ফার্নান্দো আলোন্সো৷ ফেরারির নামজাদা এই চালকের দিনটা ছিল বারো সেপ্টেম্বর৷ রবিবার৷ এমনিতেই ইটালিয় গ্রঁ প্রি মানেই সেখানে হাজার ফৈজত৷ এক তো বছরের যে সময়ে এই ফরমুলা ওয়ান প্রতিযোগিতাটা হয়, সে সময়ে ইউরোপের আবহাওয়া কোথাওই প্রায় শুকনো থাকে না৷ তার ওপর বিপদজনক রাস্তার বাঁক, থাকে এক গাড়ির সঙ্গে অপর গাড়ির ধাক্বা লেগে যাওয়ার আশঙ্কাও৷ এই সবকিছুকে বেশ সহজে টপকেছেন আলোন্সো, তাও নয়৷ তাঁকে বেশ শক্ত বাধার মুখে পড়তে হলেও বেশ অ্যাডভাঞ্চারাস বিজয় পেয়েছেন তিনি শেষ পর্যন্ত৷
গোটা রেসটাই টানটান ছিল৷ কিন্তু সবচেয়ে বেশি করে উত্তেজনার পারদ চড়েছে ১৬ থেকে কুড়ি নম্বর ল্যাপে যখন দেখা যায় প্রথম থেকে এগিয়ে থাকা বাটনকে সেকেন্ডের ভগ্নাংশ ধরে ছাপিয়ে যেতে শুরু করেছে আলোন্সোর ফেরারি৷ তেরো নম্বর ল্যাপ থেকে ষোলো পর্যন্ত বাটন আর আলোন্সোর গাড়ি প্রায় গা ঘেঁষে ছুটেছে৷ তখনও পর্যন্ত বাটনই ছিলেন এগিয়ে৷ এরপর কুড়ি নম্বর ল্যাপ থেকে এগোতে শুরু করেন আলোন্সো৷ তারপর ফের ৩৬ আর ৩৭ নম্বর ল্যাপে পৌঁছে আলোন্সোকে প্রায় ধরে ফেলেছিল বাটনের মার্সিডিস৷ কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি৷ ইটালিয় গ্রঁ প্রি তাই এ বছর আলোন্সোর দখলেই৷
এ বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয় আর এপ্রিলে চীনা গ্রঁ প্রি জিতে এসেছেন বাটন৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে নিজের মহাদেশ ইউরোপেই পরাজয়ের শিকার হতে হল রবিবার৷
মোনজায় আয়োজিত এই গ্রঁ প্রিতে তৃতীয় স্থানের দখলদার ফেরারির ফেলিপে মাসা৷ রেড বুলের সেবাস্টিয়ান ভেটেল হয়েছেন ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে চতুর্থ৷ সব মিলিয়ে অবশ্য চতুর্থ অবস্থান বাটনেরই৷ দলগত আর ব্যক্তিগত হিসাবে৷ অন্যদিকে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে তাঁর অবস্থান দ্বিতীয়৷ আর ম্যাকলারেনের লুই হ্যামিলটন এই রেসে ষষ্ঠ অবস্থানে থাকলেন৷ ফেলিপে মাসার সঙ্গে তাঁর গাড়ির সংঘর্ষ হওয়ার পর হ্যামিলটন কার্যত রেস থেকে সরে যান৷
প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা : জাহিদুল হক