1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জয় মানেই যে সাফল্য নয়!

৯ মে ২০১৪

গতবছরের বিজয়ী ডেনমার্কের গায়িকা এমেলি ডে ফরেস্ট তাঁর স্বদেশ ডেনমার্কেই পর্যাপ্ত বাণিজ্যিক সাফল্য পাননি৷ শনিবার রাজধানী কোপেনহাগেনে এ বছরের ফাইনালে তিনি তাঁর সর্বাধুনিক সিঙ্গল ‘‘রেইনমেকার'' গানটি গাইবেন৷

https://p.dw.com/p/1BvmR
ছবি: picture-alliance/dpa

সারা বিশ্ব থেকে ফ্যানরা ডেনমার্কের রাজধানীতে আসতে শুরু করেছেন৷ শহরের মুখ্য সড়কটিকে ‘‘ইউরোভিশন ফ্যান মাইল''-এ পরিণত করা হয়েছে৷ শহরের অধিকাংশ হোটেলে ঘর খালি নেই৷ অর্থাৎ ইউরোভিশন সং কটনটেস্ট তার জনপ্রিয়তার কিছুমাত্র হারায়নি৷

এই গানের প্রতিযোগিতা থেকেই এককালে – অর্থাৎ আজ থেকে ৪০ বছর আগে – হঠাৎই উঠে এসেছিল সুইডেনের ডিস্কো গ্রুপ আব্বা, তাদের ‘‘ওয়াটার্লু'' গানটি গেয়ে৷ এমেলি ২০১৩ সালের ইউরোভিশন সং কনটেস্ট জেতেন ‘‘ওনলি টিয়ারড্রপ্স'' গানটি গেয়ে৷ গানটি ইউরোপের একাধিক দেশে টপ টোয়েন্টি হিটে পরিণত হয়েছিল৷

কিন্তু তারপর এমেলি যে সিঙ্গলটি রেকর্ড করেন, তা কোনো চার্টেই স্থান পায়নি৷ আরো বড় কথা, টিকিট কম বিক্রি হওয়ার কারণে এমেলিকে ডেনমার্ক ও জার্মানির একটি কনসার্ট টুর বাতিল করতে হয়৷ অপরদিকে এ-ও সত্য যে, ইউরোভিশনে জেতার পরের তিন মাসে এমেলি এতোই ‘‘বুক'ড'' ছিলেন যে তাঁর দম ফেলার সময় ছিল না৷ গত এক বছরে তিনি ২৫টি দেশ ঘুরেছেন৷

জেতার পর এমেলির গত বারো মাসের মধ্যে অধিকাংশ সময়টা কেটেছে জার্মানি এবং সুইডেনে, অর্থাৎ যে সব দেশে ইউরোভিশন ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়৷ ফ্রান্স কিংবা ব্রিটেনের মানুষ ইউরোভিশনের ততটা ভক্ত নন৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও, এমেলির – আপাত – ব্যর্থতার কারণ কি? একটা কারণ এ হতে পারে যে, এমেলি যদিও খুব ভালোই গান, কিন্তু তাঁর ঐ জেতার গানটি ছাড়া আর কোনো গান মানুষের জানা নেই; আবার নতুন গানগুলোও ঠিক সেই পর্যায়ে উঠতে পারেনি৷

Dänemark Musik Sängerin Eurovision 2014 Emmelie de Forest
ইউরোভিশনে জেতার পরের তিন মাসে এমেলি এতোই ‘‘বুক'ড'' ছিলেন যে তাঁর দম ফেলার সময় ছিল নাছবি: picture-alliance/dpa

কথাটা বলেন ডেনমার্কের এক নাম-করা সংগীত প্রযোজক ও ডিস্ক জকি৷ অন্যরা বলেছেন: ইউরোভিশনে গাওয়া গানটি যতই ভালো হোক না কেন, সেটা তো একেবারে আনকোরা নতুন একটা গান৷ যেমন ইউরোভিশনের অধিকাংশ শিল্পীর পক্ষে ঐ ইউরোভিশন মঞ্চই হলো একমাত্র মঞ্চ৷ কাজেই অচেনা শিল্পী কিংবা সেই অচেনা শিল্পীর অচেনা গানটিকে ভুলতে বিভিন্ন দেশের মানুষদের বিশেষ সময় লাগে না৷

সব সত্ত্বেও এমেলি এবারকার ‘ডান্সক মেলোডি গ্রঁ প্রি'-তে গান গেয়ে তাঁর ক্যারিয়ার নতুন করে ‘কিকস্টার্ট' করার স্বপ্ন দেখছেন৷ পাদপ্রদীপের আলোয় যখন তিনি একবার এসেছেন, যত বেশি বা কম হোক, কিছুটা পরিচিত তো পেয়েছেনই – আবার তাঁর বয়সটাও সবে ২১ ছাড়িয়েছে৷ কাজেই ইতিমধ্যেই সব আশা পরিত্যাগ করার কোনো প্রশ্ন ওঠে না৷ তবে এমেলির বর্তমান প্রকল্পটি কতটা সাফল্য এনে দেবে, তা নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে৷

এমেলি তাঁর নতুন অ্যালবামটির জন্য যে মার্কিন সংরাইটারের সঙ্গে কাজ করছেন, তিনি হলেন মোজেলা, যিনি মাইলি সাইরাসের হিট গান ‘রেকিং বল' লিখেছেন৷ কিন্তু মাইলি সাইরাসের সাফল্যের ফর্মুলা ডেনমার্কের ইউরোভিশন বিজয়ীর ভাগ্যেও কাজ করবে কিনা, সেটা বিতর্কের বিষয়৷

এসি/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য