1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শীর্ষ পদে নারীরা...

২৯ আগস্ট ২০১৪

আঙ্গেলা ম্যার্কেল ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা হিসেবে স্বীকৃত৷ তবে ইউরোপের নারীদের কাছে তাঁর দৃষ্টান্ত ব্যতিক্রম ছাড়া কিছু নয়৷ সেখানে উঁচু পদে নারীদের সংখ্যা এখনো খুবই বিরল৷

https://p.dw.com/p/1D3En
Fußball WM 2014 Deutschland Portugal Merkel Torjubel
ছবি: imago/ActionPictures

সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে উঁচু পদে আরও বেশি সংখ্যক নারী প্রয়োজন – রাজনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য জগতের প্রায় সব নেতাই বার বার এ কথা বলেন৷ কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তার প্রতিফলন দেখা যায় না৷ যেমন আগামী পাঁচ বছর ইউরোপীয় কমিশনের শীর্ষ পদগুলিতে কাদের দেখা যাবে, শনিবার তা চূড়ান্ত করবেন ইউরোপীয় নেতারা৷ এই কমিশনর বা ‘মন্ত্রী'-দের মধ্যে নারীর সংখ্যা আগের মতো নগণ্যই থাকতে চলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ প্রতিটি ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের ‘গ্রুপ ফটো'-তেও একই দৃশ্য৷ ধূসর কোট-প্যান্ট পরা মাঝবয়সি পুরুষদের ভিড়ে হাতে-গোনা কয়েকজন নারীকে দেখা যায়৷

ইউরোপীয় কমিশনের আগামী প্রেসিডেন্ট জঁ-ক্লোদ ইয়ুংকার বলেছেন, তিনি তাঁর ‘মন্ত্রী'-দের মধ্যে যত বেশি সম্ভব নারীদের দেখতে চান৷ বিদায়ী কমিশনে ২৮ জন কমিশনরের মধ্যে ন'জন নারী ছিলেন৷ যাবার আগে তাঁরা উত্তরসূরি হিসেবে কমপক্ষে ১০ জন নারীকে দেখতে চান৷ এই মর্মে তাঁরা ইয়ুংকারকে এক যৌথ বিবৃতি পাঠিয়েছেন৷ অথচ নতুন কাঠামোয় এখনো পর্যন্ত মাত্র পাঁচজন নারীর কথা শোনা যাচ্ছে৷

ইইউ-র ২৮টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে শুধু সুইডেন, বুলগেরিয়া, ইটালি, চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভেনিয়া তাদের প্রতিনিধি হিসেবে নারীদের মনোনীত করেছে৷ তবে এখনো কয়েকটি পদ সম্পর্কে অস্পষ্টতা রয়ে গেছে৷ যেমন ইটালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফেডেরিকা মোগেরিনি ইইউ পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান হতে পারেন৷ সে ক্ষেত্রে জেনিফার অ্যাশটনের পর আবার একজন নারী সেই পদ পেতে পারেন৷

শনিবার কমিশনরদের মনোনীত করা হলেও তাঁদের চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট৷ প্রয়োজনে পার্লামেন্ট বেঁকেও বসতে পারে৷ স্পিকার মার্টিন শুলৎস এরই মধ্যে সতর্ক করে বলেছেন, পার্লামেন্ট মোটেই এক ‘‘জেন্টলমেন'স ক্লাব'' মেনে নেবে না৷ এই অবস্থায় সমস্যায় পড়েছেন ইয়ুংকার৷ জাতীয় সরকারগুলি যদি নারীদের নাম প্রস্তাব না করে, সে ক্ষেত্রে তাঁর পক্ষে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন৷ তাই তিনি নিজের ক্ষমতার মধ্যে যেখানে সম্ভব উচ্চ পদে নারীদের নাম প্রস্তাব করতে চান৷ ইউরোপীয় কাউন্সিলের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হ্যার্মান ফান রম্পয়ের জায়গায় আসতে পারেন ডেনমার্কের প্রধনমন্ত্রী হেলে টর্নিং৷

মোটকথা, অনেক দর-কষাকষির পর শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় শাসনযন্ত্রে নারীদের সংখ্যা সামান্য বাড়তে পারে৷ তবে সেটা ৫০ শতাংশ ছোঁয়ার কোনো সম্ভাবনা আজও নেই৷

এসবি/ডিজি (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য