1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপের প্রয়োজন বিদেশি শ্রমিক

৯ জুন ২০১০

নতুন বিশ্বকে কয়েক শতাব্দী ধরে উপনিবেশে পরিণত করার পর পশ্চিম ইউরোপ ১৯৬০ এর দশকে প্রথম এশিয়া, আফ্রিকা অথবা ল্যাটিন আমেরিকা থেকে মানুষ আমদানী শুরু করে৷ কারণ তখন পশ্চিম ইউরোপের শিল্প কলকারখানার প্রয়োজন ছিল বিদেশি শ্রমিকের৷

https://p.dw.com/p/Nm6q
কাজের খোঁজে ইউরোপের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় অসংখ্য মানুষছবি: picture-alliance/ dpa/dpaweb

এই প্রয়োজনীয়তার জন্যই পশ্চিম ইউরোপ এশিয়া, আফ্রিকা অথবা ল্যাটিন আমেরিকা থেকে শ্রমিক আনার ব্যাপারে একটা উন্মুক্ত-দ্বার নীতি গ্রহণ করে৷ পশ্চিম ইউরোপে বিদেশি শ্রমিকের প্রবাহ ব্যাপকভাবে হ্রাস পায় ১৯৭৩ সালে তেল সংকটের পর৷ কিন্তু কুড়ি শতকের শেষের দিকে তাদের আগমন বৃদ্ধি পায়৷ খুব সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ধনী দেশগুলোতে বহিরাগতদের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপকভাবে৷ দুই হাজার সালে এদের সংখ্যা ছিল যেখানে পনেরো লাখ, সেখানে দুই হাজার সাত সালে এই সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় বিয়াল্লিশ লাখে৷ তারপর থেকে বৃদ্ধির এই হার হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় কুড়ি লাখে৷ এই তথ্য জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান দপ্তর ‘ইউরোস্ট্যাট'৷

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ইউরোপীয়রা যদি তাদের বর্তমান জীবনযাত্রার মান বজায় রাখতে চান, তাহলে আগামী দশকগুলোতে লক্ষ লক্ষ বিদেশি শ্রমিককে পশ্চিম ইউরোপে স্বাগত জানাতে হবে৷ কারণ পশ্চিম ইউরোপের জনসাধারণের বয়স বেড়ে যাচ্ছে৷ তাই বিশেষজ্ঞরা প্রস্তাব দিয়েছেন, ইউরোপে জন্ম হার বাড়াতে হবে৷ তা না হলে তাদের নির্ভর করতে হবে তরুণ বহিরাগতদের ওপর এবং তারা কর পরিশোধ করবে, যা প্রয়োজন হবে ইউরোপীয়দের রাষ্ট্রীয় অবসর ভাতা বিলের জন্য৷

ইইউ এর পরিসংখ্যান দপ্তর ইউরোস্ট্যাট এর এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দুই হাজার আট সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বসবাসরত বিদেশিদের সংখ্যা ছিল তিন কোটি দশ লাখের সামান্য নীচে৷ জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও স্পেনেই বহিরাগতদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি৷

প্রতিবেদন: আবদুস সাত্তার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন