ইউরোভিশন নিয়ে যে সাতটি তথ্য আপনি জানেন না
ইউরোভিশনের কথা শুনলেই জনপ্রিয় গান আর চোখ ধাঁধানো মঞ্চের কথা মনে হতে পারে আপনার৷ তবে এর বাইরেও অনেক ব্যাপার আছে যা আপনাকে বিস্মিত করতে পারে৷ চলুন জানা যাক সেগুলো৷
কনচিটা ‘ভুয়র্স্ট’ বলে কিছু নেই
ইউরোভিশন বেশ কয়েকজন তারকার জন্ম দিয়েছে৷ এদের অনেকে জগতজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছেন, কেউবা হয়েছেন কুখ্যাত৷ কনচিটা ভুয়র্স্ট বা টোমাস নয়ভিয়র্ট তাঁদেরই একজন৷ ‘ভুয়র্স্ট’ শব্দটি জার্মান, যার অর্থ সসেজ৷ মজাটা হচ্ছে শিল্পী হিসেবে কনচিটা ভুয়র্স্ট বিখ্যাত হলেও বাস্তবে এই নামে কোন সসেজ নেই৷
সবচেয়ে রঙিন পোশাক জয়ী হয় (মাঝেমাঝে)
ইউরোভিশনে সচরাচর সবচেয়ে রঙিন পোশাক পরিহিত প্রতিযোগী জয়লাভ করেন৷ তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও আছে৷ ২০১৩ সালে ইউরোভিশন জয় করা ডেনমার্কের এমিলি ডি ফরেস্ট ‘হোয়াইট এলফ’ সেজেছিলেন৷ আর তাতে তাঁর জয়যাত্রা থেমে যায়নি৷
পশু নিষিদ্ধ
একথা স্বীকার করতে অসুবিধা নেই যে ইউরোভিশনে অংশ নেয়া অনেক প্রতিযোগীকে দেখলে মনে হয় তারা বুঝি অন্য কোনো দুনিয়ার বাসিন্দা৷ তবে যে বেশভূষাই তাঁরা ধারণ করুন না কেন, তা ইউরোভিশনের নিয়মনীতির সঙ্গে মানানসই হতে হয়৷ আর সে সব নিয়মের একটি হচ্ছে, পশুরা নিষিদ্ধ৷
টেক্সটই আসল
ইউরোভিশনে বহুসংস্কৃতির মিলন ঘটে বটে, তবে প্রতিযোগীদের গান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা রয়েছে৷ অর্থাৎ যে যে দেশের তিনি সেদেশের ভাষায় গাইবেন, এমন কোনো নিয়ম নেই৷ বরং অনেক শিল্পী ইংরেজি ভাষাকে বেছে নেন যাতে করে সবচেয়ে বেশি মানুষ গানটির অর্থ বুঝে নেন৷ এক্ষেত্রে গানের টেক্সট বা কথাই বেশি গুরুত্ব পায়৷
স্টেজে অপ্রত্যাশিত অতিথি
ইউরোভিশনের লাইভ অনুষ্ঠান চলাকালে দর্শকদের কেউ কেউ হঠাৎ মঞ্চে উঠে পড়ার চেষ্টা করেন৷ অনেকক্ষেত্রে তারা সফলও হন৷ কিন্তু নিরাপত্তাকর্মীরা ছাড়া কেউ বিষয়টি তেমন একটা গুরুত্ব সহকারে নেয়না৷ ছবিতে ২০১০ সালে হঠাৎ মঞ্চে উঠে পড়া জিমি জাম্পকেও দেখা যাচ্ছে৷
আমরা ইউরোপ!
ইউরোভিশন সংগীত প্রতিযোগিতাকে ইউরোপীয় মনে হতে পারে, আসলে কিন্তু বিষয়টা সেরকম নয়৷ ইউরোপীয় ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের সকল সদস্য রাষ্ট্র এতে অংশ নিতে পারে৷ আর তারমধ্যে ইসরায়েলও আছে৷ এছাড়া এই নিয়মে আলজেরিয়া, টিউনিশিয়া, লিবিয়া এমনকি ভ্যাটিকান সিটিসহ কয়েকটি দেশও চাইলে প্রতিযোগী পাঠাতে পারে৷ যদিও তারা পাঠায় না৷
অনুষ্ঠান শেষ মানেই শেষ নয়
ইউরোভিশনের মূল অনুষ্ঠানে বিজয়ীকে মুকুট পরানোর মাধ্যমেই কিন্তু ইউরোভিশনের পর্বটি শেষ হয়ে যায়না৷ বরং এই নিয়ে ইউরোভিশন ভক্তদের মধ্যে আলোচনা চলে সারা বছরই৷ তারা নিজেদের উদ্যোগে বিভিন্ন পার্টির আয়োজন করে৷