ইউরোপে বাণিজ্য সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
৮ ডিসেম্বর ২০১০বাংলাদেশের মোট রফতানির শতকরা ৫৬ ভাগই ইউরোপের বাজারে সরবরাহ করা হয়৷ রফতানি পণ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে তৈরি পোশাক৷ আর তা মোট রফতানির ৯০ ভাগ৷ এরপরই হিমায়িত খাদ্যের অবস্থান৷ এর বাইরে চামড়া, পাট ও চা উল্লেখযোগ্য৷
ইউরোপে বাংলাদেশের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে৷ সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী বছরে ৫.৫ বিলিয়ন ইউরোর পণ্যসামগ্রী রফতানির বিপরীতে বাংলাদেশ আমদানি করে ১.১ বিলিয়ন ইউরোর পণ্য৷ বাংলাদেশের আমদানি পণ্যের মধ্যে যন্ত্রপাতি এবং রাসায়নিকই প্রধান৷
বাণিজ্যিক লেনদেনের এই পরিস্থিতিতে বুধবার ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের বানিজ্য সম্পর্ক নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল(অব.) ফারুক খান বলেছেন, ১লা জানুয়ারি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে আরো বাণিজ্য সুবিধা দেবে৷
কিন্তু ইউরোপে রফতানি বাড়াতে বাংলাদেশের সামনে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে৷ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে হবে৷ এব্যাপারে ভূমিকা পালন করতে পারেন ব্যবসায়ীরা৷ কারণ তারা কোন দলের নয়৷ তাদের পক্ষে রাজনৈতিক দরগুলোর ওপর ইতিবাচক চাপ সৃষ্টি সম্ভব৷
মন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অনেক দেশের ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট রয়েছে৷ ফলে বাংলাদেশ প্রেফারেনশিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্টের কারণে যে সুবিধা পায় তা কমে যাচ্ছে৷ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা হবে৷
‘আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়া সবকিছু'- এই নীতির আওতায় বাংলাদেশ ইউরোপে শুল্ক ও কোটা মুক্ত বাণিজ্য সুবিধা ভোগ করে ৷ কিন্তু ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের অসুবিধার কারণে বাংলাদেশ তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছে৷ বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান জানান, শিগগিরই বিদ্যুৎ এবং অবকাঠমোগত অনেক সমস্যার সমাধান হবে৷ এর ফলে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় আরো সক্ষমতা অর্জন করবে৷ অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সও বক্তব্য রাখেন৷
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যবহার করতে ভারতকে ফি দিতে হবে৷ এজন্য ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ কমিটি ফি নির্ধারনের ব্যাপারে চূড়ান্ত প্রস্তাব দেবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক