1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপে প্রতিদিন ৪০ জন তরুণ সহিংসতার শিকার

২২ সেপ্টেম্বর ২০১০

‘সাম্প্রতিক বছরগুলোর এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে এখানে প্রতিদিন সহিংসতার শিকার হয়ে কমপক্ষে ৪০ জন তরুণের মৃত্যু ঘটে’৷ এ কোন তৃতীয় বিশ্বের তথাকথিত ‘উন্নয়নশীল’ দেশের কথা নয়৷ খোদ ইউরোপের দৈনন্দিন ঘটনারই একটি পরিসংখ্যান৷

https://p.dw.com/p/PIl2
ইউরোপ, তরুণ, Europe, Young, Violence
ছবি: UNI

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হতাহতের এক হিসেবে দেখা গেছে, ইউরোপে বছরে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি তরুণ রাজপথের সহিংসতায় প্রাণ হারায়, তাদের মধ্যে শুধুমাত্র ছুরিকাঘাতে মোট ৪০ শতাংশ৷ অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে! অবিশ্বাস্য মনে হলেও কিছু করার নেই৷ কেন না, এই মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমন একটি তথ্যই জানিয়েছে৷

‘ইউরোপে সহিংসতা' বিষয়ক এক প্রতিবেদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি জানিয়েছে, সহিংসতার শিকার হয়ে প্রতিদিন এই যে ৪০টি তাজা, তরুণ প্রাণ ঝরে যাচ্ছে, সমাজের জন্য এটি এক অপূরণীয় ক্ষতি৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে, ছুরি বহন করা ইউরোপের অনেক দেশের ক্ষেত্রেই ইদানিং সাধারণ মামুলী একটি বিষয়ই হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ প্রায় ১২ শতাংশ ইউরোপিয় তরুণই আজকাল এই ছুরি জাতীয় অস্ত্র সঙ্গে নিয়ে চলাফেরা করে৷ রাশিয়া, আলবেনিয়া, কাজাখস্তান সহ পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশে একারণে ছুরি দিয়ে সংঘটিত হত্যার সংখ্যা ইদানিং মারাত্মকভাবে বেড়েছে৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপিয় অঞ্চলের পরিচালক সুজান্না জ্যাকব জানিয়েছেন, সহিংসতা রোধে সফল ইউরোপিয়ান দেশগুলোর অভিজ্ঞতার বিষয়টি কাজে লাগিয়ে আমাদের আসলে এই বিষয়ে সাফল্য পেতে হবে৷ তিনি আরো বলেন, যদি সহিংসতা রোধে সরকার এবং কর্তৃপক্ষ আরো অর্থ বিনিয়োগ করে এবং এই বিষয়ে নজর দেয়, তাহলে ইউরোপ বছরে নিদেনপক্ষে ১৩ হাজার তরুণের জীবন রক্ষা করতে পারবে৷ সহিংসতা রোধে ইউরোপের জন্য এটি হবে বড় এক সাফল্য৷

সহিংসতা রোধে বিনিয়োগ বাড়ানোর সাম্প্রতিক দাবি দাওয়াগুলোকে জ্যাকবের এই বক্তব্য আরো জোরদার করেছে৷ ঠিক এমন একটি সময়ে জ্যাকব তা জানালেন, যখন বেকারত্ব আর কমে আসা সামাজিক সহায়তা পুরো ইউরোপ জুড়েই এই সহিংসতার প্রবণতাকে বাড়িয়ে তুলছে৷

তরুণদের ক্ষেত্রে অস্ত্র বা ছুরি রাখার ক্ষেত্রে স্কুলে গাল-মন্দ করা, অ্যালকোহল বা মাদক সঙ্গে রাখার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ দেখা গেছে, যারা স্কুলে গালাগালি করে, অ্যালকোহল বা অন্য কোন মাদক গ্রহণে অভ্যস্ত, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারাই সঙ্গে অস্ত্র রাখছে৷

লন্ডনে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনটিতে ইউরোপিয় রাষ্ট্রগুলোর সরকারি মহলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে, তারা যাতে ক্রমবর্ধমান এই সহিংসতার পেছনের কারণগুলো ভালো করে খতিয়ে দেখেন৷ সহিংসতা বাড়ার সঙ্গে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রম, এবং অপরাধের বিচার ইত্যাদি বিষয়গুলো অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত৷ সঙ্গত কারণেই ক্রমবর্ধমান এই সহিংসতা রোধ করতে হলে সব কিছু বিবেচনায় এনেই তা করতে হবে৷ দেখা গেছে এটি শুধুমাত্র সহিংসতা বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণের চাইতে অনেক সাশ্রয়ী আর কার্যকরিও বটে৷

প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী