ইউনূস ইস্যু থেকে ক্রিকেটের ইস্যু
২১ মার্চ ২০১১বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের খবরে ছিল, সফররত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ও. ব্লেক পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েসের সঙ্গে আলোচনায় সমঝোতা শব্দটি ব্যবহার করেননি৷ অপরদিকে ইত্তেফাকের শিরোনাম হল: ‘ইউনূস ইস্যুতে সমঝোতার আশা যুক্তরাষ্ট্রের'৷ ইতিপূর্বে ব্লেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন৷ ইত্তেফাকের বিবরণ অনুযায়ী পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ব্লেক দৃশ্যত সাংবাদিকদের বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, একটা সমঝোতা সম্ভব বলে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী৷ সমঝোতার একটা সুযোগ আছে৷ এবং এ'ধরণের সমঝোতা হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে৷ জনকণ্ঠের বিবরণও অনুরূপ৷ সমকালও লিখছে, আদালতে শুনানির আগেই যুক্তরাষ্ট্র ইউনূস ইস্যুর নিষ্পত্তি চায়৷ যুগান্তরের শিরোনামও অনুরূপ৷
সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী পুনর্মুদ্রিত সংবিধানকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করেছে বিএনপি৷ এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে৷ রবিবার সংসদে পয়েন্ট অফ অর্ডারে বিএনপি'র জ্যেষ্ঠ সাংসদ মওদুদ আহমেদের মুখে এই দাবি শোনা যায়৷ তাঁর বক্তব্য: সংবিধান সংশোধন করার ক্ষমতা আদালতের নেই৷ কাজেই খসড়া সংবিধান বেআইনি ও অসংবিধানিক৷ তা দিয়ে দেশ চালানোটা অবাস্তব৷ মওদুদের এই বক্তব্য বিস্তারিত ভাবে বর্ণিত হয়েছে ভোরের কাগজ এবং অন্যান্য পত্রিকায়৷
বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের বিদায়ের পর কি ক্রিকেটের ইস্যুটা গণমাধ্যম থেকে বিদায় না নিলেও, উৎসাহে, আবেগে কিছুটা ভাঁটা পড়েছে বৈকি৷ ইত্তেফাকের ভাষায়: ‘শনিবার ম্যাচ শেষে বিসিবি অফিসের পরিবেশ বলে দিচ্ছিল বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে৷' অর্থাৎ ‘থমথমে পরিবেশ৷ নেই কোলাহল, ব্যস্ততা৷' আসল প্রশ্ন: এতো ভালো প্রস্তুতির পর দলের এতো বাজে পারফরমেন্স কেন? অথচ টেকনিকাল কমিটির চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন সিরাজ কিন্তু ভালোই জানেন যে, এই দল তিনটি ম্যাচ জিতেছে৷ কাজেই, কালের কণ্ঠের প্রতিবেদক নাঈমুর রহমানের ভাষায়: ‘৫৮-এর পর ৭৮-এর দেখতে না হলে আমাদের বিশ্বকাপ নিয়ে আমি সন্তুষ্ট থাকতে পারতাম৷' কাজেই এখন বিশ্বকাপ ক্রিকেটশুদ্ধি অভিযানের কথা বলছেন কর্তারাও, লিখছে কালের কণ্ঠ৷
গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম