1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউনূসের করমুক্ত ৫৪ কোটি টাকা নিয়ে প্রশ্ন

১২ এপ্রিল ২০১১

দীপু মনির সাফ মন্তব্যে বেশ সমালোচনা যুক্তরাষ্ট্রের৷ ইউনূসের ব্যাঙ্কে গচ্ছিত ৫৪ কোটি টাকা নিয়ে ওঠা প্রশ্ন৷ এরশাদের বাণী, এসব নিয়েই আজকের পত্রপত্রিকার খবরসবর৷

https://p.dw.com/p/10rg0
ছবি: picture alliance/dpa

সব কাগজের শিরোনাম আজ দীপু মনির চাঁচাছোলা মন্তব্য৷ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে দুর্বলতা রয়েছে এবং এটি যুক্তিসঙ্গত নয়৷ এর গবেষণা এবং তথ্যসূত্র অপর্যাপ্ত৷ গত সপ্তাহে ২০১০ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র৷ এতে বলা হয়, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে৷ এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনী হেফাজতে মৃত্যু, অত্যাচার, অযৌক্তিক গ্রেপ্তারও করছে৷ র‌্যাবসহ নিরাপত্তা বাহিনীর বিচার-বহির্ভূত হত্যার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না হওয়ার বিষয়টিতে প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়৷ দীপু মনি বলেন, তারা সংবাদপত্র, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও অন্যান্য ব্যক্তিগত উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন যা নির্ভরযোগ্য নয়৷

ইউনূস সাহেবের ব্যাঙ্কে জমানো অর্থ নিয়ে খবর

দৈনিক কালের কন্ঠের ফলাও খবর এটাই৷ বলা হচ্ছে ‘ব্যাংকে জমা ইউনূসের নিজস্ব ৫৪ কোটি টাকাও করমুক্ত!' প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, গ্রামীণ ব্যাংক ১৯৮৫ সাল থেকে যে কর অব্যাহতি পেয়েছে, তা অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় দেওয়া হয়েছে এবং এতে সরকারের সম্ভাব্য রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৫১৪ কোটি সাড়ে ২৭ লাখ টাকা৷ আরো জানানো হয়েছে, বিভিন্ন ব্যাংকে ড. ইউনূসের নিজস্ব ৫৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা স্থায়ী আমানত (এফডিআর) হিসেবে জমা রয়েছে৷ ইউনূস বিদেশ থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ অর্থ আয় করার দাবি করে তা রেমিট্যান্স হিসেবে কর অব্যাহতি নিয়েছেন৷ কিন্তু এনবিআর বলেছে, তাঁর আয় আর প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয় এক চরিত্রের নয়৷ তাই এই আয়ের ওপরও কর অব্যাহতি নেওয়া আইনানুগ হয়নি৷

এরশাদের রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি

দেশের চলমান সমস্যা সমাধানে আবারও রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ৷ সব কাগজেই একপাশে খবরটা আছে৷ সোমবার দলের বনানী কার্যালয়ে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের জাতীয় পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এই দাবি জানান৷ এরশাদ বলেন, ‘রাষ্ট্রপতিশাসিত এবং প্রাদেশিক পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা চালু হলে দেশ সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে এবং জনগণ ভালো থাকবে৷ তাই সংবিধান সংশোধন করে সংসদীয় পদ্ধতির পরিবর্তে আবারো রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে৷'

গ্রন্থনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার