ইউক্রেনীয়-রুশি প্রেমকাহিনী
ইউক্রেন আর রাশিয়ার সংঘাত দু’দেশের মানুষকে পরস্পরের কাছ থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে৷ তবে দম্পতি আর প্রেমিক-প্রেমিকারা সেতুবন্ধনের কাজ করে চলেছেন ঠিক আগের মতোই৷
আর্টুর আর অক্সানা
‘আমি (এই ছবিঘরের স্রষ্টা) নিজে রুশি৷ আর্টুর হলো ইউক্রেনীয়৷ তিন বছর আগে একটা ফটোগ্রাফি ওয়ার্কশপ করার সময় আমাদের বন্ধুত্ব হয়৷ তারপর বিদেশে৷ সবশেষে আর্টুর মস্কোয় এসে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়৷ আজ আমার একসঙ্গে থাকি, বিদেশে যাই, রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনে গিয়ে পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দেখা করি৷’
অল্গা আর ভ্লাদিমির
ভ্লাদিমির একজন আধুনিক শিল্পী, অল্গা ব্যালেরিনা৷ অল্গার জন্ম ইউক্রেনের কিরোভোগ্রাদস্কায়া অঞ্চলে৷ ওরা ওদের সদ্যোজাত শিশুসন্তান নিয়ে রাশিয়ার খিমকিতে থাকে৷ এক বন্ধু ফেসবুকে অক্সানার ছবি পোস্ট করার পর অল্গা আর ভ্লাদিমিরই প্রথম তাদের ছবি তুলতে দিতে রাজি হয়৷
ইউলিয়া আর এডিক
ইউলিয়ার জন্ম ইউক্রেনে আর এডিক-এর জন্ম রাশিয়ায়৷ দু’জনেই পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস এলাকা থেকে উদ্বাস্তু৷ আজ ওদের চার বছরের ছেলে দিমাকে নিয়ে ওরা থাকে মস্কোয়৷ দিমার কথা ভেবেই ওরা যুদ্ধ থেকে পালিয়েছে৷ লাইফ লিংকস রিপোর্টার এমিলি #প্রাইডঅ্যান্ডপ্রেজুডিস এপিসোডটির জন্য ওদের ছবি তোলেন ঐ মস্কোতেই৷
দিমা আর সাশা
দিমা হল রাশিয়ার, সাশার জন্ম ইউক্রেনে৷ সাশা ‘ফেমেন’ গোষ্ঠীর সদস্য৷ দিমা কিয়েভে এসেছিল নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর হয়ে, ফেমেন সম্পর্কে একটা রিপোর্ট করার জন্য৷ ওদের দু’জনের তখনই দেখা – আর বন্ধুত্ব৷ কিছুদিন পরে সাশা ইউক্রেন ছেড়ে ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়৷ তখন থেকে দিমা আর সাশা প্যারিসে বাস করছে৷
দিমা আর ভ্লাদা
দিমার জন্ম রাশিয়ায়, ভ্লাদা হল কিয়েভের, মানে ইউক্রেনের মেয়ে৷ দুজনের সাক্ষাৎ হয় জর্জিয়ায়, তারপর কিছুদিন দূর থেকে প্রেম৷ শেষমেষ ওরা অ্যামেরিকায় চলে যায়৷ওখানে এক বছর আগে ওদের একটি ছেলে হয়েছে, যার নাম লেভ৷
মাক্সিম আর দারিয়া
দারিয়া ইউক্রেনের মেয়ে, মাক্সিম রাশিয়ার ছেলে৷ ওদের প্রেম শুরু হয় গ্রীষ্মের একটি দিনে, রাশিয়ার ভরোনেঝ-এ৷ দু’জনে একই ভাড়াগাড়িতে সাত ঘণ্ঠা কাটায় – একসঙ্গে৷ মাক্সিম নাকি প্রথম সন্দর্শনেই প্রেমে পড়ে৷ ক’দিন দেখা না হলেই ওদের প্রেম যে উথলে ওঠে, সেটা ওদের দেখলেই বোঝা যায়৷
ভ্যালেরি আর স্বেতা
ভ্যালেরি হলো ইউক্রেনের ওডেসা থেকে, স্বেতার জন্ম রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে৷ স্বেতা এসেছিল ওডেসায় এক বন্ধুর কাছে – সেই অবকাশে ভ্যালেরির সঙ্গে দেখা৷ এক বছর পরেই বিয়ে৷ দু’জনেই যোগব্যায়ামের ভক্ত; বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি আর উদ্ভুটে ব্যাপারস্যাপারে আগ্রহী৷
সাশা আর লেনা
আলেক্সান্ডার হলো রাশিয়ার ক্রাসনোদার থেকে, লেনার জন্ম ইউক্রেনের কিয়েভে৷ দু’জনের দেখা ২০১৩ সালে, গ্রিসে ছুটি কাটানোর সময়৷ এক বছরের মধ্যেই লেনা মস্কোয় গিয়ে আলেক্সান্ডার-এর সঙ্গে যোগ দেয়৷ দুই দেশের মধ্যে সমস্যা যতো বাড়ে, ততই বাড়ে ওদের প্রেম৷
লিনা আর ভিটিয়া
‘‘আমার মা রুশি, বাবা ইউক্রেনের মানুষ৷ ওঁদের দু’জনের সাক্ষাৎ খারকোভ স্টেট ইউনিভার্সিটিতে৷ আজ ৫০ বছর ধরে দু’জনে একসঙ্গে৷ মানুষ আর মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বের সূত্রটি আমি পেয়েছি ওঁদের কাছ থেকেই৷’’