ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের ফিরে পাচ্ছে অসিরা
২৩ জানুয়ারি ২০১১মেলবোর্ন এবং হোবার্টে প্রথম দুটি ম্যাচ বেশ সহজে জিতেছিল মাইকেল ক্লার্কের দল৷ রোববার সিডনিতে তৃতীয় ওয়ানডেতেও তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চার উইকেটের জয় কব্জা করে নিল তারা৷ খেলায় আসলে কখনোই ইংলিশদের মনে হয়নি জেতার মত৷ অস্ট্রেলিয়ার জন্য মাত্র ২১৫ রানের লক্ষ্য দাঁড় করাতে সক্ষম হয় তারা৷ ইনিংসের প্রথম ওভারেই ব্রেট লি ইংলিশ ওপেনার প্রাইয়রকে আউট করেন৷ এরপর ৩৮ রানের মাথায় রান আউট হয়ে যান আরেক ওপেনার স্ট্রস৷ পুরো ইনিংসে একমাত্র ট্রট ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার বোলিং এর সামনে৷ বরং বাকিরা নিজেদের দোষেই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন৷ ৪৮ ওভারেই ২১৪ রানে অল আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড৷ ট্রট ১১৯ বলে ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন৷ অসি পেসার ব্রেট লি মাত্র ২৭ রান দিয়ে তিনটি উইকেট দখল করেন৷
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৭ রানের মধ্যেই দুই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া৷ এরপর ১০০ রান পর্যন্ত যেতে আরও তিন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেলে খেলায় কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বীতার আভাস পাওয়া যায়৷ কিন্তু ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ডেভিড হাসি ও স্মিথ ৬৩ রান তুললে খেলায় ফিরে আসে অসিরা৷ এরপর সপ্তম উইকেট জুটিতে হ্যাস্টিংকে সঙ্গে নিয়েই বাকি রান তুলে নেন হাসি৷ অপরাজিত ৬৮ রান করেন তিনি৷ দীর্ঘ ১৮ মাস পর ওয়ানডে ক্রিকেটে ফেরায় হাসিকে নিয়ে যে সন্দেহ ছিল তা দূর হয়ে গেছে তাঁর এই ইনিংসে৷ চার ওভার বাকি থাকতেই ২১৫ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মাইকেল ক্লার্কের দল৷
সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার
অন্যদিকে ভারতের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার পঞ্চম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছেন হাশিম আমলা৷ মাত্র ১৬ রানে অধিনায়ক স্মিথ আউট হয়ে গেলেও অন্যপ্রান্ত আগলে রাখেন ওপেনার আমলা৷ তবে ৪২ ওভার শেষে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়৷ ততক্ষণে অবশ্য সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান৷ পরে খেলা ৪৬ ওভারে কমিয়ে আনা হয়৷ খেলা শুরুর পর দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে যেন মড়ক লাগে৷ শেষ দুই ওভারে আউট হন পাঁচ ব্যাটসম্যান৷ প্রোটিয়াসরা নয় উইকেট হারিয়ে করে ২৫০ রান৷ হাশিম আমলা করেন অপরাজিত ১১৬ রান৷ অন্যদিকে জবাব দিতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের সামনে রীতিমত নাকাল হন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা৷ শুরু থেকেই একের পর এক ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে লাইন ধরেন৷ এক পর্যায়ে ৭৪ রানে ছয় উইকেট চলে গেলে আশংকা দেখা দেয় একশর ঘর পার হবে কিনা৷ তবে শেষ পর্যন্ত ইউসুফ পাঠানের হাফ সেঞ্জুরিতে কিছুটা রান করতে সমর্থ হয় ভারত৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়