আয়-রোজগারে মার্কিন মেয়েরা ডিঙিয়ে যাচ্ছেন পুরুষদের
৪ সেপ্টেম্বর ২০১০সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, রোজগারের দিক থেকে বছরের পর বছর পিছিয়ে থাকার পর, ইদানিং নাকি মার্কিন পুরুষদের সঙ্গে সেখানকার মেয়েরা সমানে সমানে লড়ছে৷ শুধু তাই নয়, আয়-রোজগারে এই মার্কিন ললনাদের কেউ কেউ আবার পুরুষদেরকে ডিঙিয়েও যাচ্ছে৷
যদিও নিউ ইয়র্কের ‘রিচ অ্যাডভাইজারস' নামের এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি'র গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, মার্কিন মুলুকে তাদের সংখ্যা এখনো নেহাতই স্বল্প কিন্তু তাদের সংখ্যা খুব দ্রুতই বাড়ছে!
রিচে'র প্রতিবেদনটি বলছে, এই মার্কিন নারীদের অধিকাংশের বয়সই বিশের কোঠায়, আর তাদের অনেকেই একক মা৷ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, শুধু পুরুষ সঙ্গীটিই নয়, কাছে থাকে না তাদের সন্তানরাও৷
সাম্প্রতিক এই প্রতিবেদনে রিচ আরো জানাচ্ছে, মার্কিন মুলুকের বড় বড় শহরগুলোতে বসবাসরত এইসব তরুণী একাকিনী মায়েরা পুরো সময় জুড়েই কাজ করে এবং রোজগারের দিক থেকে এরা সমবয়সী পুরুষদের চাইতে গড় হিসেব করলে প্রায় আট শতাংশ বেশী ডলার পকেটে পুরে নেয় মাসের শেষে৷
যদিও গড়ের হিসেব কষলে সার্বিক বিবেচনায় মার্কিন পুরুষরা যা আয় করে, পুরো সময় ধরে কাজ করেও মার্কিন নারীরা সেই বিপুল অঙ্কের কেবল আশি শতাংশ ছুঁতে পারে৷ যাই হোক, এইসব মার্কিন মেয়েরা যারা এখন রোজগারের অঙ্কে পুরুষদের পেছনে ফেলে দিচ্ছে এর একটি কারণ নাকি তাদের পড়াশোনা!
জানা গেছে, চারজনের মধ্যে তিনজন মেয়েই যারা স্কুলের গন্ডি ডিঙোয়, পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা নিয়ে তাদের অনেকেই আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকেও হাঁটা দেয়৷ এদিকে পুরুষদের মধ্যে আবার এর সংখ্যা তিনজনের মধ্যে মাত্র দুইজন! আর পড়াশোনায়, কলেজ ডিঙোনো কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন মেয়েরা মার্কিন পুরুষদের চাইতে সংখ্যায় প্রায় দেড়গুণ বেশী৷
তো, পরিস্থিতি যা দাঁড়াচ্ছে তাতে সম্ভবত সেদিন আর খুব বেশী দূরে নেই, যেদিন মার্কিন ললনারাই সেই মুলুকের অধিকাংশ টাকা-পয়সা নাড়া-চাড়া করবেন৷
প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়