1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আয়ারল্যান্ডের সংকটের ভার শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের কাঁধে

২৩ নভেম্বর ২০১০

প্রবল আর্থিক সংকটের ভার সামলাতে না পেরে আয়ারল্যান্ডের সরকার ইউরোপের কাছে হাত পাততে বাধ্য হলো৷ কিন্তু কাটছাঁট ও করের বোঝার দায় সামলাতে হবে সাধারণ মানুষকেই৷

https://p.dw.com/p/QFgu
বিপর্যস্ত প্রধানমন্ত্রী ব্রায়ান কাউয়িনছবি: AP

ইউরোপের একটি দেশের দিকেই আপাতত সবার নজর৷ এই তো, কিছুদিন আগে পর্যন্ত ছোট্ট দেশ আয়ারল্যান্ডের হাই-টেক শিল্প ও অর্থনৈতিক সাফল্যের কত প্রশংসা শোনা যাচ্ছিল৷ আজ গভীর আর্থিক সংকটে ডাবলিন সরকার৷

সরকারের গদি টলমলে

রবিবার আয়ারল্যান্ডের সরকার শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আইএমএফ'এর ঋণের ছত্রছায়ায় আসতে রাজি হওয়ায় সোমবার দেশে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে৷ অন্যতম শরিক সবুজ দল বেঁকে বসেছে৷ জোটের দুই নির্দল সাংসদও সমর্থন তুলে নিয়েছেন৷ তারা আর সরকারের উপর আস্থা রাখতে রাজি নয়৷ প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে জনগণকে আশ্বাস দিয়েও রাতারাতি সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ব্রায়ান কাউয়িন রোষের মুখে পড়েছেন৷ ফলে সোমবার তিনি কার্যত হল ছেড়ে দিয়ে বললেন, জানুয়ারি মাসে সংসদ ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করে দেবেন৷

Irland Defizit NO FLASH
ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা বিপর্যস্তছবি: picture alliance/dpa

এবার রাজনৈতিক সংকট

ঠিক৷ কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও প্রধানমন্ত্রী ব্রায়ান কাউয়িন দেশের মান-সম্মান ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে একটি বিষয়ে অনড় রয়েছেন৷ ই.ইউ.'র সহায়তা নিতে রবিবার তাঁর সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা কার্যকর করার আগে হাল ছাড়তে রাজি নন তিনি৷ সরকারি ব্যয় কমাতে বুধবার তিনি ৪ বছরের এক কর্মসূচি সংসদে পেশ করবেন৷ ৭ই ডিসেম্বর তিনি বাজেটের খসড়া পেশ করবেন৷ জাতীয় স্বার্থের দোহাই দিয়ে তিনি এই দুটি সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থনের দাবি করছেন৷ তারপরই তিনি সরে দাঁড়াতে প্রস্তুত৷

সরকার নিরুপায়

এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে৷ ব্যাঙ্কিং সংকট সামলাতে সরকার যে বিশাল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে, তার ফলে বাজারে আয়ারল্যান্ডের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ বাজেট ঘাটতিও রেকর্ড মাত্রা ছুঁয়েছে৷ এই অবস্থায় বাইরের সাহায্য নেওয়া ছাড়া উচিত ছিল না৷ কিন্তু তার বদলে বেশ কিছু অপ্রিয় সিদ্ধান্তও নিতে হচ্ছে সরকারকে, যার মূল ভার সামলাতে হবে সাধারণ মানুষকেই৷ তাদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে ব্যাপক কাট-ছাঁট করা হচ্ছে৷ বসাতে হচ্ছে নতুন কর, বাড়াতে হচ্ছে প্রচলিত করের হার৷ শ্রমিক সংগঠন ও অন্যান্য মহল এর ফলে প্রবল জনরোষের আশঙ্কা করছে৷ নির্বাচনে বিরোধী পক্ষের জয় হলে তাদের পক্ষেও পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হবে৷ প্রধানমন্ত্রী কাউয়িন এই কথাটাই বিরোধীদের বোঝাবার চেষ্টা করে চলেছেন৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়