আলো আর বরফ মিলিয়ে এক আশ্চর্য উৎসব
প্রতিবছর শীতে হাজার হাজার পর্যটক আসেন উত্তর চীনের হার্বিনে, বরফ কেটে গড়া শিল্পকলা দেখতে৷ এ বছর ছিল ৩২তম ‘আইস ফেস্টিভাল’৷
বরফে তৈরি ক্রেমলিনের ওপর আতসবাজি
আইস ফেস্টিভালে প্রতিবছরই নানা বিশ্বখ্যাত ভবন, স্থাপত্য বা ভাস্কর্যের ‘তুষার সংস্করণ’ দেখতে পাওয়া যায়৷ এ বছরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাউই উড়েছে এক বরফের ক্রেমলিনের চূড়ার ওপর৷
সবে মিলে করি কাজ
সুবিশাল ‘তুষার স্থাপত্য’-গুলির জন্য একা নয়, অনেক শিল্পীকে একসঙ্গে কাজ করতে হয়৷ কে কোন খুঁটিনাটি নিয়ে কাজ করবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করা থাকে৷ যা-তে সব কিছু ঠিকঠাক চলে, সেজন্য ‘তুষার ভাস্কর’-দের অনেকে এক বছর ধরে অনুশীলন করেছেন৷
লম্বা লাইন
হার্বিনের আইস ফেস্টিভাল শুধু চীনেই নয়, বিশ্ববিখ্যাত৷ কাজেই অতিথি-দর্শকদের লাইন পড়ে দিগন্ত অবধি৷ তাপমাত্রা যে শূন্যের কতটা নীচে, তা কেউ তোয়াক্কা করেন না৷
ওলাফ
ওয়াল্ট ডিজনি-র কার্টুনচিত্র ‘ফ্রোজেন’-এর চরিত্র ওলাফ শুধু চীন নয়, হার্বিনেও পৌঁছে গেছে৷
শিল্পকলা তো শুধু নয়, খেলাধুলোও আছে
আইস ফেস্টিভালের গোটা নাম হলো ‘আইস অ্যান্ড স্নো ফেস্টিভাল’ – অকারণে নয়৷ তুষার ভাস্কর্যের সাথে সাথে ছোটদের বা বড়দের সময় কাটানোর জন্য নানারকম ব্যবস্থা আছে: যেমন স্লেজে চড়া৷ বরফ আছে কি করতে!
আর খিদে পেলে?
আছে নানা ধরনের খাবারদাবার৷ খেয়াল করবেন, ঠেলাগাড়িটা চলেছে কিন্তু স্লেজের ওপর, ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে ট্র্যাক্টর৷
রাতের বেলা
হার্বিনের চেহারা মায়াময়, কেননা বরফের প্রাসাদ আর ভাস্কর্যগুলো সাজানো হয় মোমবাতি আর রঙিন বাতি দিয়ে৷