আলব্দি গণহত্যার দুই প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা
১৬ জুলাই ২০১০তিনি গত বছরের ২৫শে জানুয়ারি গণহত্যার মামলা করেন আদালতে৷ মামলায় নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী , কামারুজ্জামান এবং কাদের মোল্লাসহ জামাতের শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয়৷সিআইডি এখন মামলাটির তদন্ত করছে৷ শীর্ষ জামাত নেতাদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷
সিআইডি শুক্রবার থেকে আলব্দি গণহত্যা মামলার সরেজমিন তদন্ত শুরু করেছে৷ আমীর হোসেন জানান, তার বাড়ি পাশের দুয়ারিপাড়া গ্রামে হলেও আলব্দি এলাকায় নিজেদের জমিতে ধান কাটার পর গণহত্যার আগের রাতে তিনি ও তার বাবা আলব্দি গ্রামে থেকে গিয়েছিলেন৷ ভোর রাতে ওই গ্রামে চারদিক থেকে হামলা শুরু হয়৷ চলে বিকেল পর্যন্ত৷ নিজামী, মুজাহিদ, কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লা গনহত্যার সময় পাকিস্তানী সেনা সদস্যদের সঙ্গে ছিল৷ প্রায় সাড়ে তিনশ' লোককে হত্যা করা হয়৷ তিনি আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান৷ হামলায় ওই গ্রামে তার বেশ কয়েকজন আত্মীয়ও নিহত হন৷
আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী গাইজুদ্দিন মোল্লা জানান, হত্যার পর কয়েকটি গর্তে লাশ মাটিচাপা দেয়া হয় ৷ তিনি নিজেও লাশ মাটিচাপা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন৷তিনি একা ৬৫টি লাশ মাটিচাপা দিয়েছিলেন৷ লাশ মাটিচাপা দেয়ায় সহায়তা করায় তাকে প্রাণে মারেনি পাকিস্তানী সেনারা৷ তিনি জানান, হত্যাকান্ডের সময় নিজামী, মুজাহিদদের সঙ্গে অবাঙালিরাও ছিল৷
সরেজমিন তদন্তের পর এই মামলায় চার্জশিট দেবে সিআইডি৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক