1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আলব্দি গণহত্যার দুই প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা

১৬ জুলাই ২০১০

ঢাকার পল্লবীর আলব্দি গ্রামে ১৯৭১ সালের ২৪শে এপ্রিল একদিনে সাড়ে তিনশ’ লোককে হত্যা করেছিল পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা৷ওই দিন গুলিতে আহত হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন মোল্লা৷

https://p.dw.com/p/ONHS
ছবি: AP

তিনি গত বছরের ২৫শে জানুয়ারি গণহত্যার মামলা করেন আদালতে৷ মামলায় নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী , কামারুজ্জামান এবং কাদের মোল্লাসহ জামাতের শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয়৷সিআইডি এখন মামলাটির তদন্ত করছে৷ শীর্ষ জামাত নেতাদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে এখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷

সিআইডি শুক্রবার থেকে আলব্দি গণহত্যা মামলার সরেজমিন তদন্ত শুরু করেছে৷ আমীর হোসেন জানান, তার বাড়ি পাশের দুয়ারিপাড়া গ্রামে হলেও আলব্দি এলাকায় নিজেদের জমিতে ধান কাটার পর গণহত্যার আগের রাতে তিনি ও তার বাবা আলব্দি গ্রামে থেকে গিয়েছিলেন৷ ভোর রাতে ওই গ্রামে চারদিক থেকে হামলা শুরু হয়৷ চলে বিকেল পর্যন্ত৷ নিজামী, মুজাহিদ, কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লা গনহত্যার সময় পাকিস্তানী সেনা সদস্যদের সঙ্গে ছিল৷ প্রায় সাড়ে তিনশ' লোককে হত্যা করা হয়৷ তিনি আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান৷ হামলায় ওই গ্রামে তার বেশ কয়েকজন আত্মীয়ও নিহত হন৷

আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী গাইজুদ্দিন মোল্লা জানান, হত্যার পর কয়েকটি গর্তে লাশ মাটিচাপা দেয়া হয় ৷ তিনি নিজেও লাশ মাটিচাপা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন৷তিনি একা ৬৫টি লাশ মাটিচাপা দিয়েছিলেন৷ লাশ মাটিচাপা দেয়ায় সহায়তা করায় তাকে প্রাণে মারেনি পাকিস্তানী সেনারা৷ তিনি জানান, হত্যাকান্ডের সময় নিজামী, মুজাহিদদের সঙ্গে অবাঙালিরাও ছিল৷

সরেজমিন তদন্তের পর এই মামলায় চার্জশিট দেবে সিআইডি৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক