1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আলবেনিয়ায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভে নিহত ৩

২২ জানুয়ারি ২০১১

বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন৷ আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক এবং পুলিশ৷ এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব৷

https://p.dw.com/p/100oC
আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানায় সংঘর্ষছবি: DW/Muka

দুর্নীতির প্রতিবাদ

সরকারের ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে শুক্রবার রাস্তায় নামে আলবেনিয়ার সাধারণ মানুষ৷ রাজধানী তিরানায় সেদেশের বিরোধী দল সামাজিক গণতন্ত্রী এই প্রতিবাদ বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছিল৷ কিন্তু বেসামরিক জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হঠাৎই দাঙ্গায় রূপ নেয়৷ পুলিশ প্রতিবাদকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস আর জলকামান ব্যবহার শুরু করলে, বিক্ষোভকারীরাও জবাব দেয় পাথর এবং মলটফ ককটেল ছুঁড়ে৷ এসময় তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন৷ তিরানা সামরিক হাসপাতালের সামি কোকাও জানান, নিহতদের খুব কাছে থেকে গুলি করা হয়েছে৷ এছাড়া আহতদের মধ্যে ২২ বেসামরিক নাগরিক এবং ১৭ পুলিশের অবস্থাও আশঙ্কাজনক৷

সর্বশেষ পরিস্থিতি

আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী সালি বিরিশা এই ঘটনার জন্য বিরোধী নেতা এডি রামাকে দায়ী করেছেন৷ তাঁর কথায়, টিউনিশিয়ার মতো শক্তিপ্রয়োগ করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেছিল বিরোধী দল৷ কিন্তু এডি রামার দাবি, নিরাপত্তা বাহিনীর উস্কানির কারণেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়৷ এদিকে, সংঘর্ষের পর রাজধানী তিরানা বর্তমানে শান্ত থাকলেও পরিস্থিতি থমথমে৷ সেদেশের প্রেসিডেন্ট বামির টপি এক বিবৃতিতে জনসাধারণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন৷ এবং রাজনৈতিক নেতাদের সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার নির্দেশ দিয়েছেন৷

Flash-Galerie Albanien Tirana Unruhe Januar 2011
সংঘর্ষের দায় পরস্পরের উপর চাপাচ্ছে সরকার ও বিরোধী দলছবি: AP

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

বিশ্ব নেতারা আলবেনিয়ায় সংঘর্ষের খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সেদেশের শীর্ষ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ এক দুর্লভ যৌথ বিবৃতিতে সেদেশে অবস্থানরত বিদেশি কুটনীতিকরা জানিয়েছেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে তিরানায় আজকের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল না, ফলে কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে৷ আমরা দ্রুত শান্তি আহ্বান করছি এবং সবপক্ষকে সংযম প্রদর্শণের ও উস্কানি না দেবার অনুরোধ করছি৷

ইউরোপীয় ইউনিয়ন

এছাড়া পৃথক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন এবং সম্প্রসারণ বিষয়ক কর্মকর্তা স্টেফান ফুলে আলবেনিয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ন্যাটোতে যোগ দেয় আলবেনিয়া৷ কিন্তু দুর্নীতি, অস্বচ্ছ নির্বাচন আর নানা সংস্কারে ধীরগতির কারণে এখনো ইইউ সদস্য পদ পায়নি এই দেশ৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা