আলবেনিয়ায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভে নিহত ৩
২২ জানুয়ারি ২০১১দুর্নীতির প্রতিবাদ
সরকারের ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে শুক্রবার রাস্তায় নামে আলবেনিয়ার সাধারণ মানুষ৷ রাজধানী তিরানায় সেদেশের বিরোধী দল সামাজিক গণতন্ত্রী এই প্রতিবাদ বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছিল৷ কিন্তু বেসামরিক জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হঠাৎই দাঙ্গায় রূপ নেয়৷ পুলিশ প্রতিবাদকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস আর জলকামান ব্যবহার শুরু করলে, বিক্ষোভকারীরাও জবাব দেয় পাথর এবং মলটফ ককটেল ছুঁড়ে৷ এসময় তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন৷ তিরানা সামরিক হাসপাতালের সামি কোকাও জানান, নিহতদের খুব কাছে থেকে গুলি করা হয়েছে৷ এছাড়া আহতদের মধ্যে ২২ বেসামরিক নাগরিক এবং ১৭ পুলিশের অবস্থাও আশঙ্কাজনক৷
সর্বশেষ পরিস্থিতি
আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী সালি বিরিশা এই ঘটনার জন্য বিরোধী নেতা এডি রামাকে দায়ী করেছেন৷ তাঁর কথায়, টিউনিশিয়ার মতো শক্তিপ্রয়োগ করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেছিল বিরোধী দল৷ কিন্তু এডি রামার দাবি, নিরাপত্তা বাহিনীর উস্কানির কারণেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়৷ এদিকে, সংঘর্ষের পর রাজধানী তিরানা বর্তমানে শান্ত থাকলেও পরিস্থিতি থমথমে৷ সেদেশের প্রেসিডেন্ট বামির টপি এক বিবৃতিতে জনসাধারণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন৷ এবং রাজনৈতিক নেতাদের সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার নির্দেশ দিয়েছেন৷
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
বিশ্ব নেতারা আলবেনিয়ায় সংঘর্ষের খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সেদেশের শীর্ষ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ এক দুর্লভ যৌথ বিবৃতিতে সেদেশে অবস্থানরত বিদেশি কুটনীতিকরা জানিয়েছেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে তিরানায় আজকের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল না, ফলে কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে৷ আমরা দ্রুত শান্তি আহ্বান করছি এবং সবপক্ষকে সংযম প্রদর্শণের ও উস্কানি না দেবার অনুরোধ করছি৷
ইউরোপীয় ইউনিয়ন
এছাড়া পৃথক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন এবং সম্প্রসারণ বিষয়ক কর্মকর্তা স্টেফান ফুলে আলবেনিয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ন্যাটোতে যোগ দেয় আলবেনিয়া৷ কিন্তু দুর্নীতি, অস্বচ্ছ নির্বাচন আর নানা সংস্কারে ধীরগতির কারণে এখনো ইইউ সদস্য পদ পায়নি এই দেশ৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা