1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরো ৪,২০০ কর্মী ছাঁটাই করবে সিমেন্স

১৯ মার্চ ২০১০

আবারো কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিল সিমেন্স৷ যদিও ডিসেম্বরেই সংস্থাটি এই ছাটাইয়ের কিছুটা আভাস দিয়েছিল৷ তবে, এবার যে কর্মী ছাটাই হচ্ছে তার বেশিরভাগই বাস জার্মানিতে৷

https://p.dw.com/p/MWa8
ফাইল ফটোছবি: dpa

সিমেন্সের কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা নতুন নয়৷ গত বছরের আর্থিক মন্দার ধাক্কায় ইতিমধ্যেই চাকরি গেছে প্রতিষ্ঠানটির ২৩ হাজার কর্মীর৷ আর সেই ছাঁটাইয়ের পর, গত বছর শেষে সংস্থাটির মোট কর্মী সংখ্যা ছিল ৪ লাখ পাঁচ হাজার৷

এবার সেখান থেকেও কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত৷ তবে খরগ নামছে সিমেন্সের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের উপর৷ বিশ্বব্যাপী এই বিভাগে কর্মরত ৩৫ হাজার কর্মীর মধ্যে ৪,২০০ জন চাকরি হারাবেন ২০১১ সালের মধ্যে৷ এমনটাই ঘোষণা জার্মানির বহুজাতিক এই সংস্থাটির৷

কর্মী ছাঁটাইয়ের এই তালিকায় এবার সবার উপরে জার্মানি৷ দেশটিতে সিমেন্সের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগে যে ৯,৭০০ কর্মী কাজ করছেন তাদের মধ্য থেকেই চাকরি হারাবেন ২,০০০ জন৷

সিমেন্স জানিয়েছে কর্মী ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি বিভাগটিকে আরো সহজ করবে তারা৷ একইসঙ্গে এটির কর্মকান্ডকে দুই ভাগে ভাগ করে দেয়া হবে৷ একটি অংশের নাম হবে বিজনেস ইনফরমেশন টেকনোলজি স্যলিউশনস এবং অপরটি আইটি আউটসোর্সিং৷ আর এই ঢেলে সাজানোর কাজে প্রতিষ্ঠানটির ব্যয় হবে ৫০০ মিলিয়ন ইউরো৷ শুধু তাই নয়, একটি স্বনির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই বিভাগকে তৈরি হতে চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে সবধরণের সুযোগ সুবিধাও দেয়া হবে৷ এই প্রসঙ্গে সংস্থাটির তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী ক্রিস্চিয়ান ওয়েকিং জানান, ‘‘আমরা তথ্য প্রযুক্তি বিভাগকে দীর্ঘ মেয়াদী শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে চাই৷''

অবশ্য সিমেন্সের এই কর্মী ছাঁটাইয়ের পেছনে যুক্তিও রয়েছে৷ পরিসংখ্যান বলছে, তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের বেচাবিক্রি গত কয়েক বছর ধরেই বেশ কম৷ অথচ প্রতিদ্বন্দ্বী আই.বি.এম বা এইচ.পি-র একই বিভাগের কর্মীদের চেয়ে সিমেন্সের কর্মীরা বেশী বেতন পেতেন৷

প্রসঙ্গত, বর্তমান বাজারের চাহিদার উপর ভিত্তি করে সামগ্রিকভাবেই সিমেন্স তার উৎপাদিত পণ্য তালিকাতেও পরিবর্তন আনছে৷ বাল্ব এবং ওয়াশিং মেশিন থেকে শুরু করে চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, উইন্ড টার্বাইন, পারমানবিক রিয়েক্টর আর দ্রুতগামী ট্রেন- সবই আছে সিমেন্সের তালিকায়৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ