‘আমিও সাইকেল চালাচ্ছি!'
৭ জুলাই ২০১৭হাস্কি কুকুররা আসলে খুব গম্ভীর, কাজের মানুষ – থুড়ি কুকুর৷ বরফের ওপর দিয়ে স্লেজ টানা, দিনে আড়াইশ' কিলোমিটার দৌড়নো, এই সব হলো ওদের কাজ৷ কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম হলো, তুমি বাঘের বাচ্চা হও আর সিংহশাবক হও – কমবয়সে তোমাকে ‘কিউট' হতেই হবে, যাতে তোমাকে দেখে সকলের বাৎসল্য উথলে ওঠে, সকলে তোমাকে সামলে রাখে, খেতে-পরতে দেয়, মারধোর না করে৷
বেবি হাস্কির এই ভাইরাল ভিডিওটা ‘কিউটনেসে' ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেছে৷ ‘টুইপল', মানে টুইটার ফলো করে থাকেন এমন সব ‘পিপল' বা জনতা নাকি বেবি হাস্কির বাতাসে সাইকেল চালানোর ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওটা রিটুইট করে করে আর কিছু রাখেনি! কয়েক লাখ বার রিটুইট – তার সঙ্গে আরো কয়েক লাখ লাইক: এ তো দিন তিনেক আগেকার স্ট্যাটিটিক্স; আজ তা কোথায় পৌঁছেছে, কে জানে৷
কিন্তু কিউটনেস ব্যাপারটার মধ্যেই যেন কোথায় একটা ফাঁক কিংবা ফাঁকি আছে৷ প্রথমত, বেবিরা বোধহয় ঠিক জানে না, কখন তাদের কিউট দেখাচ্ছে অথবা না দেখাচ্ছে৷ জেনেশুনে কিউট হওয়াটাকে বলে ন্যাকামি – প্রয়োজনে বেবিরাও সেটা শেখে৷ কিন্তু বেবিরা সত্যিকারের কিউট হয়, যখন তারা না জেনে কিছু একটা করে – আর তাদের মা, মাসি-পিসি, দিদা-দিদিরা ‘আহা মরে যাই' বলে গলে যান – আগে ওভাবেই লাইক দেযা হতো কিনা৷
হাস্কি বেবি জানেও না যে, সে সাইকেল চালাচ্ছে না৷ সে দেখছে, পায়ের তলা দিয়ে মাটি সরে যাচ্ছে, অর্থাৎ সে ‘চলেছে'৷ আর থাবা না নাড়লে যে ‘চলা' যায় না, এটা তার সহজাত প্রবৃত্তি তাকে বলে দিচ্ছে৷ মনে রাখবেন, কুকুররা কিন্তু ঠিক ঐভাবেই সাঁতার কাটে, ঠিক যেভাবে তারা চলে, সেভাবে, অর্থাৎ থাবার পর থাবা ফেলে৷ বলতে কি, কোনোদিন যদি কোনো কুকুরকে উড়তে দেখেন, তাহলে দেখবেন মাটির পৃথিবীতে চলা, হাঁটা, দৌড়নোর মতোই সে তার থাবা ঘুরিয়ে যাচ্ছে...
ঠিক আমাদের ঐ বেবি হাস্কির মতো৷
এসি/ডিজি