1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খেলার জন্য আবেগ ও উচ্ছ্বাস

১২ জুন ২০১৪

ব্রাজিলে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ৷ তাই এখন এ নিয়েই মাতামাতি৷ কেউ পরিবেশন করছেন বিশ্বকাপ নিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য, কেউ জানাচ্ছেন প্রিয় দলের জার্সি বিষয়ক ভাবনা, কেউ বা দিচ্ছেন আবেগের লাগাম হাতে রাখার পরামর্শ৷

https://p.dw.com/p/1CHFr
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty ImagesMUNIR UZ ZAMAN/AFP/Getty Images

সামহয়্যারইন ব্লগে এহতেসাম অমি জানিয়েছেন বিশ্বকাপ-২০১৪-র বাংলাদেশ সময়সূচি৷

আরো কিছু মজার তথ্যও রয়েছে তাঁর এ লেখায়৷ তবে একই ব্লগে সুমন নিনাদ ‘জার্সি কেনার গল্প: আমি কি বড় হয়ে গেলাম?'– শিরোনামে জানিয়েছেন ফুটবলভক্ত হিসেবে নিজের নতুন এক উপলব্ধির কথা৷

তাঁর লেখার শুরুটা এমন, ‘‘মার্কেটের ফুটপাত ধরে হাঁটছি৷ হঠাৎ একটি দোকানের সামনে চক্ষু আটকে গেলো৷ কাপড়-চোপড়ের দোকান৷ টি শার্ট, জিন্স এইসবের দোকান আরকি৷ দেখি দুটি বৃহদাকৃতির পুতুলের গায়ে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের জার্সি পরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে৷ বোঝাই যাচ্ছে, সামনে বিশ্বকাপ৷ ক্রেতাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট করার পুরনো কৌশল৷ আমি উদভ্রান্তের মতো ছুটে গেলাম৷ পুরনো রোগ৷ পুরনো রোখও বলতে পারেন৷ আমি যেন ঘোরের মধ্যে আছি৷ নেড়েচেড়ে দেখছি একটি জার্সি৷ হলুদটা দেখছিলাম নাকি আকাশী নীলটা দেখছিলাম সেটা আপনাদের নাইবা বললাম৷''

সুমন নিনাদ দোকানে ঢুকেছিলেন প্রিয় দলের জার্সি কিনতে৷ শেষ পর্যন্ত কিন্তু তা আর কিনেননি৷ কেন? কারণ জানাতে গিয়ে সামহয়্যারইন-এর এই ব্লগার লিখেছেন, ‘‘জার্সি হাতে আমি ট্রায়াল রুমের দিকে এগুচ্ছি৷ হঠাৎ আমার কী যেন হলো৷ আমি গেলাম না৷ ফিরে এলাম৷ সেলসম্যানকে জার্সি ফেরত দিয়ে দিলাম৷ মনে হলো, কী হবে একটা অন্য দেশের জার্সি কিনে? সত্যিই কি এটা আমি গায়ে লাগাবো? হঠাৎ মনে হলো একটা বাংলাদেশের জার্সি কিনি৷ পেলাম না৷ একটা সবুজ টি শার্ট পেলাম, যার বুকের ওপর টকটকে লাল বৃত্ত৷ পছন্দ হলো৷ কিন্তু কিনলাম না৷ মনে প্রশ্ন এলো, কেন আমাকে এটা পরতে হবে? নিজেকে দেশপ্রেমিক প্রমাণ করতে?''

FIFA WM 2014 Trikot Argentinien
আর্জেন্টিনা দলের জার্সিছবি: imago/Sepp Spiegl

শেষে সুমনের প্রশ্ন, ‘‘আমার কেন এমন হয় আজকাল? আমি কি তাহলে বড় হয়ে গেছি, মা? আমার কি বয়স হয়েছে নাদের আলি? কই আমার মাথাতো আজও ঘরের ছাদ স্পর্শ করতে পারেনা?''

বিশ্বকাপ নিয়ে উত্তেজনার শেষ নেই৷ ভক্তদের উত্তেজনা কোথাও কোথাও উন্মাদনাতেও রূপ নিচ্ছে৷ আমার ব্লগে মাহবুবুল আলম তাঁদের উদ্দেশ্যেই লিখেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ উত্তেজনা যেন কখনো মাত্রা অতিক্রম না করে''৷

তিনি লিখেছেন, ‘‘কোনো কিছুতেই অতি উচ্ছ্বাস ভালো নয়৷....ইতিমধ্যে এই ফুটবল উন্মাদনায় প্রিয় দলের পতাকা টাঙাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দু'জন বাংলাদেশি তরুণ সমর্থক প্রাণ হারিয়েছেন যা আমাদেরকে যুগপৎ আহত ও ব্যথিত করেছে৷ এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে অনেক৷ কেউবা প্রিয় দলের পরাজয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে অথবা কেউ প্রিয় দলের হারে আত্মহত্যা করেছে; যা অতি উচ্ছ্বাস বা আবেগেরই বহিঃপ্রকাশ৷ খেলাকে খেলা হিসেবেই নিতে হবে৷ জীবনের চেয়ে খেলা কিছুতেই মূল্যবান হতে পারে না৷ জীবন চলে গেলে সব খেলাই বন্ধ হয়ে যায়৷ এটাই হলো আসল কথা৷ আসুন, সবাই খেলাকে খেলা হিসেবেই দেখি৷ আমাদের প্রত্যেককে একটি কথা স্মরণ রাখতে হবে, খেলার জন্য যেন আমাদের আবেগ ও উচ্ছ্বাস মাত্রা ছাড়িয়ে না যায়৷ আর যেন কোন জীবনহানী না ঘটে৷''

সংকলন : আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা : সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য