1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টিউনিশিয়ায় অশান্তি

৭ আগস্ট ২০১৩

আরব বসন্তের শুরু যে দেশকে ঘিরে সেই টিউনিশিয়া আবারো উত্তাল সরকারবিরোধী বিক্ষোভে৷ মিশরের পর এবার টিউনিশিয়ায় সরকার পতনের আন্দোলন বেগবান হয়েছে৷ বিরোধী রাজনৈতিক নেতার হত্যার পর সম্প্রতি শুরু হওয়া বিক্ষোভ অন্য রূপ নেয়৷

https://p.dw.com/p/19LJZ
ছবি: AP

রাজধানী টিউনিসে লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ করতে থাকে৷ তাঁদের একটাই দাবি, ইসলামপন্থী সরকারের পতন৷ তাঁদের এই বিক্ষোভের কারণে স্থগিত হয়ে যায় জাতীয় পরিষদের সমস্ত কাজ৷ সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ৷ বার্দো স্কয়ারে বিক্ষোভকারীদের একটাই স্লোগান: এই সরকারের পতন চায় জনগণ৷

২০১১ সালে বেন আলির পতনের সময় এই স্লোগানটিই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল৷ বামপন্থী রাজনৈতিক নেতা শকরি বেলাইদের হত্যার ছয় মাস পূর্ণ হওয়ায় এই বিক্ষোভ শুরু করে সরকারবিরোধীরা৷ এ বছরই আর এক বিরোধী নেতা মোহাম্মদ ব্রাহমিকেও গুলি করে হত্যা করা হয়৷

এই দুই রাজনৈতিক নেতার হত্যার পেছনে ইসলামি জঙ্গিদের হাত আছে বলে দাবি করছে সরকারবিরোধীরা৷ তাঁদের দাবি, সংস্কারপন্থী ইসলামি দল এন্নাদার হাত রয়েছে এর পেছনে৷

Tunis Tunesien Demonstration Islam Islamisten
টিউনিশিয়ায় আবার বিক্ষোভের আগুনছবি: Reuters

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপাথর্ক্য এবং সাম্প্রতিক সহিংসতার কারণে মঙ্গলবার রাতে টিউনিশিয়ার জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ স্থগিত করা হয়৷

তৈরি হচ্ছে খসড়া সংবিধান

জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদের প্রেসিডেন্ট মুস্তাফা বেন জাফর জানান, সরকার এবং বিরোধী দলের মধ্যে আলোচনা না হওয়া পযর্ন্ত পরিষদের সদস্যরা তাঁদের সব কাজ বন্ধ রাখবেন৷ একইসাথে এসময় সবাইকে সংলাপে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি৷

বেন জাফরের অসাম্প্রদায়িক, সামাজিক গণতান্ত্রিক এটাকাটল পার্টি এরই মধ্যে নতুন সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে, যদিও তারা মন্ত্রিসভা থেকে এখনও পদত্যাগ করেনি৷

টিউনিশিয়াকে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নিতে এবং নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জাতীয় পরিষদের সদস্যরা একটি খসড়া সংবিধান তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছেন৷ কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই যা শেষ হবে বলে আশা করছেন তাঁরা৷

তবে সরকার পদত্যাগ না করলে তাঁদের সাথে কোনো সংলাপে হবে না বলে এরই মধ্যে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলের বেশিরভাগ সদস্য৷ ২০১১ সালে তৎকালীন শাসক বেন আলির পতনের পর দেশের প্রথম নির্বাচনে জয় পায় ইসলামপন্থি এন্নাদা পার্টি৷

তাই এখন দেখার বিষয় সরকারবিরোধীদের আন্দোলনের মুখে বতর্মান সরকারের পতন হবে, নাকি আবারো একটি গৃহযুদ্ধে প্রবেশ করবে টিউনিশিয়া৷

এপিবি/ডিজি (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য