1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগান সংসদ নির্বাচনে তালেবানের হামলার হুমকি

১৬ সেপ্টেম্বর ২০১০

আফগানিস্তানের আসন্ন সংসদ নির্বাচনে হামলার হুমকি দিল উগ্রবাদী জঙ্গি দল তালেবান৷ বিশেষ করে নির্বাচন সফল করতে যারা কাজ করছেন - তারাই হবেন এই হামলার লক্ষ্যবস্তু৷ হামলার শিকার হবেন নিরাপত্তা কর্মীরাও৷

https://p.dw.com/p/PDjG
আফগান, সংসদ, নির্বাচন, তালেবান, হামলা, Parliament, Afghanistan, Election
আফগান সংসদ নির্বাচনে প্রচারাভিযানের অংশ বিশেষছবি: DW

বৃহস্পতিবার জঙ্গি গোষ্ঠী তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বার্তা সংস্থা এএফপি'কে বলেছে, ‘‘নির্বাচন কেন্দ্রসমূহে যাওয়ার সকল পথেই হামলা চালানো হবে৷ এছাড়া নির্বাচনী কর্মী এবং নিরাপত্তা কর্মীরাই হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য৷'' তবে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালানোর কোন ইচ্ছা তাদের নেই বলে উল্লেখ করে মুজাহিদ৷ অবশ্য, নির্বাচন কেন্দ্রে উপস্থিত হলে সাধারণ মানুষও এমন হামলার মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ঐ তালেবান মুখপাত্র৷ ইতিমধ্যেই এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তিনজনকে খুন করেছে তালেবান৷ তাছাড়া এপর্যন্ত তাদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক ডজন নির্বাচন কর্মী৷ এর আগে, এক ইমেইল বার্তায় আফগানিস্তানের জনগণকে এই নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছিল জঙ্গি সংগঠনটি৷

উল্লেখ্য, আগামী শনিবার অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনে ২৪৯টি আসনের জন্য লড়ছেন আড়াই হাজারেরও বেশি প্রার্থী৷ ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হাতে তালেবান গোষ্ঠী পরাজিত হওয়ার পর দেশটিতে এটি দ্বিতীয় নির্বাচন৷ পাঁচ হাজার আট শ'টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে বলে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের খবর৷ নিরাপত্তা পরিস্থিতি হুমকির মুখে থাকায় এক হাজারেরও বেশি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে না বলে জানা গেছে৷ দেশটির নয়টি জেলা জুড়ে রয়েছে তালেবান হুমকির মুখে থাকা এসব ভোটকেন্দ্র৷

বলা বাহুল্য, দেশটির ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর থেকেই কাবুল সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তালেবান৷ আর এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে নির্মূল করতে সেখানে নিয়োজিত রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সামরিক জোট ন্যাটোর প্রায় দেড় লাখ সেনা সদস্য৷

এদিকে, তালেবান জঙ্গিদের দমনে করণীয় এবং দুই দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানির সাথে বৈঠক করেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই৷ দু'দিনের পাকিস্তান সফরে গিয়ে বৃহস্পতিবার কায়ানির সাথে বৈঠক করলেন কারজাই৷ বৈঠকে জঙ্গি গোষ্ঠীর তৎপরতা বন্ধে দুই দেশের সীমান্ত অঞ্চলে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সহায়তা বৃদ্ধির কথা উঠে আসে৷

পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়নে তাঁর দেশের গোয়েন্দা সহায়তার কথা ঘোষণা করার পরই অনুষ্ঠিত হলো কারজাই-কায়ানি বৈঠক৷ ইসলামাবাদ সফরকালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির সাথেও বৈঠক করেছেন কারজাই৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ