1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কারজাই দিল্লি আসছেন

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১৭ মে ২০১৩

আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই দিল্লি আসছেন ২২ মে৷ এই সফর গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে পাকিস্তানে সরকার বদল এবং আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রেক্ষিতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে কারজাই-মনমোহন সিং বৈঠকের জন্য৷

https://p.dw.com/p/18ZUi
(From L to R) Indian Prime Minister Manmohan Singh, Afghanistan's President Hamid Karzai and Indian President Pranab Mukherjee listen to questions from the media during Karzai's ceremonial reception at the forecourt of India's presidential palace Rashtrapati Bhavan in New Delhi November 12, 2012. Afghanistan is "ripe and ready" for Indian investments in mining and other sectors, Karzai told business leaders in Mumbai on Saturday at the start of a trip to woo investors for his war-ravaged country. REUTERS/B Mathur (INDIA - Tags: POLITICS)
ছবি: Reuters

প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর সঙ্গে বৈঠকে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই সেদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং তালেবানের সঙ্গে চলতি শান্তি প্রক্রিয়া কোথায় দাঁড়িয়ে আছে, সে সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করবেন৷ অবহিত করবেন আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে ব্রাসেলসে পাকিস্তানের সেনা প্রধান কায়ানি ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির মধ্যে বৈঠক এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুনের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জারদারির বৈঠকের ফলাফলও ৷

মনমোহন সিং-কারজাই বৈঠক সম্পর্কে দিল্লির আফগান রাষ্ট্রদূত আবদালি ২০১১ সালের ভারত-আফগান স্ট্র্যাটিজিক পার্টনারশিপ চুক্তির উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তাঁর দেশ ভারতের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা গভীরতর করতে আগ্রহী, যার মধ্যে আছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশিক্ষণ, সামরিক সাজসরঞ্জাম সরবরাহ ইত্যাদি৷ তবে বিষয়টি বর্তমানে আলোচনাধীন৷

Indian Prime Minister Manmohan Singh, left, and Afghanistan President Hamid Karzai, right, shake hands after a press conference at the Presidential Palace in Kabul, Afghanistan, Thursday, May 12, 2011. (ddp images/AP Photo/Mustafa Quraishi)
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর সঙ্গে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইছবি: AP

আফগানিস্তানের সব কিছু পাকিস্তানের চোখ দিয়ে দেখা ঠিক হবে না৷ ভারত ও আফগানিস্তান দুটি সার্বভৌম দেশ৷ তাদের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের প্রশ্ন আসবে কেন? আফগানিস্তানে ভারতের নিরাপত্তা বিনিয়োগ ২০১৪ সালের পর জঙ্গি তৎপরতার আঁচ থেকে ভারতকে বাঁচাতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন দিল্লির আফগান রাষ্ট্রদূত৷

২০১৪ সালে যৌথ বাহিনী সরে যাবার পর আফগানিস্তানে ভারতের সামরিক উপস্থিতি কী বাড়বে? এ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরাসরি বৃহত্তর সামরিক ভূমিকা নিতে ভারত রাজি হবেনা৷ কারণ শান্তি প্রক্রিয়ায় ভারতকে পাশে সরিয়ে তালেবান এবং পাকিস্তানকে যেভাবে সামনে আনা হয়েছে, তাতে ভারতের আপত্তি রয়েছে৷ আফগানিস্তানে ভারতের সেনা উপস্থিতিতে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে৷ তবে ভারত যেটা করতে পারে, তা হলো, আফগান বিমানবাহিনীকে শক্তিশালী করে তোলা, বিশেষ করে হেলিকপ্টার পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেয়া, হেলিকপ্টার শাখার রক্ষণাবেক্ষণ ও স্পেয়ার পার্টস সরবরাহ করা ইত্যাদি৷

পাশাপাশি আফগানিস্তান ইস্যু নিয়ে গত সপ্তাহে ভারত-চীন আলোচনায় ঠিক হয় যে, ২০১৪ সালের পরবর্তীকালে উভয় দেশ আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা রক্ষায় কারজাই সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাবে৷ তবে আফগানিস্তানের প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান ও তালেবান সম্পর্কে দু'দেশের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা৷ ২০১৪ সালের পর বিশেষ অভিযানে মার্কিন সেনার সীমিত উপস্থিতিতে চীনের যেমন আপত্তি, তেমনি ভারতের আপত্তি পাকিস্তান ও তালেবানের ভূমিকা নিয়ে৷ উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের পর ২০ হাজার মার্কিন সেনার উপস্থিতি চীনের মাথা ব্যথার কারণ৷ আর ভারতের চিন্তার কারণ পাকিস্তান এবং তালেবান আফগানিস্তানকে ব্যবহার করতে পারে তাদের কৌশলগত ঘাঁটি হিসেবে৷

ভারত এই মুহূর্তে তাই অন্যতম দাতা দেশের ভূমিকা পালনকেই অগ্রাধিকার দিতে আগ্রহী৷ আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে ভারত এ পর্যন্ত ২০০ কোটি মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্য দিয়েছে৷ ভারত-ইরান-আফগানিস্তানের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্যিক রুট খুলতে ইরানের চাবাহার বন্দর উন্নয়নে ভারতের বিনিযোগের বিষয়টি কারজাইকে বিশদভাবে জানানো হবে৷ কারণ স্থলপথে আফগানিস্তানে ভারতীয় পণ্য পাঠাতে পাকিস্তান তার ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দিতে রাজি নয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য