1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে কাজ শুরু করলেন ন্যাটোর নতুন কমান্ডার

৩ জুলাই ২০১০

আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহকারী বাহিনীর দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে নেওয়ার একদিন আগেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন নবনিযুক্ত কমান্ডার জেনারেল ডেভিড পেট্রেয়াস৷ নতুন মিশন শুরুর আগে তালেবান বিরোধী একতার ওপর জোর দিয়েছেন জেনারেল

https://p.dw.com/p/O9uR
কাজ শুরু করেছেন জেনারেল পেট্রেয়াসছবি: picture alliance/dpa

ন্যাটো বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি মার্কিন সিনেট নিশ্চিত করার পর শুক্রবার কাবুল পৌঁছেন জেনারেল পেট্রেয়াস৷ এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ আফগানিস্তান যুদ্ধের জন্য ৩৩ বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল অনুমোদন করেন৷ কাবুল পৌছে শনিবার থেকেই সার্বিক খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছেন তিনি৷ যদিও ন্যাটো বাহিনীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহকারী বাহিনী বা আইসাফের প্রধান হিসেবে তিনি আগামীকাল রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেবেন৷ আইসাফের জনসংযোগ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল ট্যাড শোল্টিস বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, শনিবার আঞ্চলিক কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেনারেল পেট্রেয়াস৷ এসময় তিনি কমান্ডারদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন এবং তাঁদের কাছ থেকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জেনে নেন৷

সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক শেষে শনিবার মার্কিন জেনারেল বেসামরিক আফগান নেতৃবৃন্দের সামনে হাজির হন৷ আগামীকাল যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মার্কিন দূতাবাসে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রায় ১,৭০০ অতিথি৷ তাঁদের সামনে দেওয়া বক্তব্যে জেনারেল পেট্রেয়াস তালেবান বিরোধী যুদ্ধে ঐক্যের ওপর জোর দেন৷ তিনি বলেন, এই ধরণের অভিযানে সহযোগিতা ঐচ্ছিক কোন বিষয় নয়৷ এটা এমন একটা উদ্যোগ যাতে উদ্দেশ্য এবং প্রচেষ্টার একতা থাকতে হবে৷ মার্কিন জেনারেল বর্তমান যুদ্ধের ব্যাপারে আগত অতিথিদের মনে করিয়ে দেন, যে এটা একটা অত্যন্ত কঠিন মিশন এবং একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল উদ্দেশ্য সাধন সম্ভব হবে৷ আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে দেখা করার কথাও তিনি জানান এসময়৷

উল্লেখ্য, জেনারেল পেট্রেয়াস এমন সময় আফগানিস্তান যুদ্ধের দায়িত্ব তুলে নিলেন যখন তা একটি সংকটকালীন সময় পার করছে৷ যুদ্ধ জয়ের পাশাপাশি আগামী বছরের জুলাইয়ের মধ্যে সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু করার দায়িত্বও তাঁকে পালন করতে হবে৷ অথচ তালেবান জঙ্গিদের হামলায় বিদেশি সেনা হতাহতের ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে৷ গত নয় বছরে আফগানিস্তানে এক হাজার নয়শ বিদেশি সেনা প্রাণ হারিয়েছে৷ কেবল গতমাসেই নিহত হয়েছে শতাধিক সেনা৷ তার ওপর আফগান বাহিনীর প্রশিক্ষণের অবস্থাও খুব একটা সন্তোষজনক নয়৷ আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই তালেবানের সঙ্গে শান্তি উদ্যোগের চেষ্টা চালালেও তাতে তেমন সাড়া মেলেনি৷ তালেবান নেতৃবৃন্দের শর্ত, শান্তি আলোচনা শুরুর আগে বিদেশি সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়তে হবে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: জাহিদুল হক