আফগানিস্তানে উন্নয়নের দিকে এবার নজর দিচ্ছে মার্কিন সেনারা
১৭ নভেম্বর ২০১০মার্কিন লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ক্লে প্যাজেট দাবি করেছেন, কান্দাহারের দক্ষিণ-পশ্চিমের গ্রামীণ এলাকা মাহালাজাত থেকে মার্কিন সেনারা তালেবান জঙ্গিদের উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়েছে৷ তিনি বলছেন, গত দু'মাসে মার্কিন ও আফগান সেনারা আর্ঘানদাব, ঝারি এবং পাঞ্জওয়ায়ির আশপাশের এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ তালেবানদের হাত থেকে নিয়ে নিয়েছে৷এখন স্থানীয় লোকজনদের তালেবান জঙ্গিদের কবল থেকে মুক্ত রাখার জন্য পুলিশ বিভাগে চাকুরি দেওয়ার মতো সরকারি বিভিন্ন চাকুরিতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যাতে সাধারণ মানুষ তাদেরকে বিশ্বাস করতে পারে৷
গত সপ্তাহে ক্লে প্যাজেট মার্কিন সরকারের আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ইউএসএইড'র সঙ্গে আলোচনায় বসেন৷ সেখানে সেনাকর্মকর্তারা এই অঞ্চলের কীভাবে উন্নয়ন করা যায় তার রূপরেখা তুলে ধরেন দাতা সংস্থাটির কাছে৷
মার্কিন সরকারের অর্থায়নে আফগানিস্তানে রাস্তাঘাট নির্মাণ, কূপ খনন, ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ এবং মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে৷ ইউএসএইড গত বছর থেকে আফগানিস্তানে অনেকগুলো প্রকল্পে কোটি কোটি ডলার অর্থায়ন করে আসছে৷ এইসব প্রকল্পের মধ্যে দু'টি প্রকল্প হচ্ছে, কান্দাহারে নতুন একটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক এবং যেসব বিচারক তালেবানদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে তাদের নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থার জন্য একটি হাউজিং কমপ্লেক্স তৈরি করা৷ আগামী একটি বছরও এইসব খাতে একই পরিমাণ অর্থ সাহায্য করবে মার্কিন এই দাতা সংস্থা৷
তবে তালেবান জঙ্গিদের ভয়ে এখনও আফগানদের অনেকেই বিশষ করে কান্দাহারের লোকজন সরকারি চাকুরি করতে ভয় পাচ্ছেন৷ বলা হচ্ছে, তারপরও অ্যামেরিকানরা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে৷ ক্যাপ্টেন ইথান ওলবার্ডিং বলছেন, তাঁরা যখন প্রথম কাজ শুরু করেছিলেন সেই সময়ের চেয়ে মানুষ এখন অনেক বেশি খোলামেলা হয়েছেন৷ এখন তাঁরা সেনাদের প্রতি বিশ্বাস আনতে শুরু করেছেন৷ কারণ এখন তাঁরা এই শহরের উন্নয়নের ব্যাপারগুলোও দেখছেন৷
ঝারির স্থানীয় অধিবাসী হাজী ইদ্রিস বলছেন, ‘‘বহু বছরের তালবান শাসনের পর আমরা এখন অবাধে এবং সহজে নিঃশ্বাস নিতে পারছি৷ কারণ আমরা এখন মুক্ত৷ তালেবান জঙ্গিরা আর সামনে নেই৷ এখানে ওখানে দুএকজন থাকলেও তাদের আর ক্ষমতা নেই৷ এখন আর ওরা আমাদের জন্য কোন হুমকি নয়৷ এরইমধ্যে আমাদের দেশের পুনর্গঠন কাজ শুরু হয়েছে৷ আইসাফ বাহিনী আমাদের জন্য এখানে একটা সড়ক তৈরি করেছে৷ আমার আশা পরিস্থিতি এখনকার মত থাকবে৷''
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক