আফগানিস্তানে আবারো বেসামরিকদের উপর হানা, নিহত ৫
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০কিন্তু আইসাফ দুঃখ জানালেও পর পর দু'দিন ন্যাটোর ভুলে প্রাণহানি ভাবিয়ে তুলেছে আন্তর্জাতিক বিশ্বকে৷ বিশেষত, গত রবিবার হেলমন্দে ন্যাটোর রকেট ভুলক্রমে এক বাড়িতে আঘাত হানলে প্রাণ হারায় ১২ জন, আর একদিন পরই সোমবার বিকেলে আবারো বেসরকারী প্রাণহানির ঘটনা ঘটলো৷ ফলে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়৷
অবশ্য, এই দুই ঘটনা সম্পুর্ণ আলাদা বলে জানিয়েছে আইসাফ৷ এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, বিমান হামলায় হতাহতের সর্বশেষ ঘটনাটি কান্দাহার প্রদেশের৷ ধারণা করা হয়েছিল, ভুক্তভোগীরা নাশকতামুলক কাজ করার চেষ্টা করছিল৷ কিন্তু পরবর্তীতে স্থল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেছে তারা বেসামরিক নাগরিক৷ ইতিমধ্যে আহত দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আইসাফ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে প্রকাশ৷
এদিকে, আফগানিস্তানের তালেবান অধ্যুষিত হেলমন্দ প্রদেশে মার্কিন, ন্যাটো এবং আফগান বাহিনীর যৌথ অভিযান ‘মোশতারাক' বেশ সফলতা পাচ্ছে বলে জানা গেছে৷ অভিযানের তৃতীয় দিনে আফগান বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল আমিনুল্লাহ পাটিয়ানি দাবি করেছেন, মারজাহ এবং নাদ আলী এলাকার প্রায় পুরোটাই যৌথ বাহিনীর দখলে৷
এরই মাঝে আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ হানিফ আটমার তালেবান জঙ্গিদের অস্ত্র ছেড়ে শান্তি আর পুর্নবাসনে যোগ দেবার উম্মুক্ত আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, আফগান সরকারের শান্তি এবং পুর্নবাসন কর্মসুচিতে অংশ নেয়াই হবে তালেবান জঙ্গিদের জন্য সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ৷ এই যুদ্ধে তাদের জয়ের কোন উপায়ই নেই৷ আফগানরা জয়ের জন্য বদ্ধপরিকর৷ আর তাই জঙ্গিরা যদি আমাদের শান্তি প্রস্তাবের সুযোগ নিতে চায় তাহলে অবশ্যই ইতিবাচক সাড়া পাবে৷
তবে, এখনো হেলমান্দে তালেবান জঙ্গিরা বিচ্ছিন্নভাবে যৌথ বাহিনীকে প্রতিরোধের চেষ্টা করছে বলে জানাচ্ছে বার্তা সংস্থাগুলো৷ কিছু কিছু এলাকায় তালেবান জঙ্গিদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গোলাগুলিরও খবর পাওয়া গেছে৷ অভিযানে ইতিমধ্যে দুই ন্যাটো সেনা প্রাণ হারিয়েছে৷ অন্যদিকে, তালেবান জঙ্গিদের তরফ থেকে মৃতের কোন সঠিক সংখ্যা এখনো পাওয়া যায়নি৷
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন