আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন আফ্রিদি
৩১ মে ২০১১কিছুদিন আগেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বা পিসিবি'র কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, আবারো অধিনায়ক হিসেবে একদিন ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের নেতা হওয়ার সম্ভবানা শেষ আফ্রিদির৷ এর কারণ, তিন ধরণের ফরম্যাটে আলাদা আলাদা অধিনায়কের নীতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পিসিবি সভাপতি ইজাজ বাট৷ যার অর্থ, পাকিস্তানের সব ধরণের খেলায় এবার থেকে নেতৃত্ব দেবেন মিসবাহ উল হক৷
এই ঘোষণার পর থেকেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের অন্যতম ‘অল-রাউন্ডার' শহিদ আফ্রিদির ভবিষ্যতটা বেশ একটু টলমলে অবস্থায় চলে আসে৷ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই অধিনায়কত্ব হারিয়ে খবরের শিরোনাম হন আফ্রিদি৷ অপরাধ, কোচ ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গে বিবাদ৷ মূলত, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেরা একাদশ গঠন নিয়ে কোচের সঙ্গে তর্ক করেন আফ্রিদি৷ যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলকে নিয়ে যান শেষ চারে৷ তাঁর কথায়, ‘আমি আমার দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য লড়েছিলাম৷'' একদিনের ক্রিকেটে আফ্রিদির ‘দুর্ধর্ষ' ব্যাটিং এবং অসাধারণ ‘লেগ স্পিন' কার না মনে আছে ? কিন্তু তারপরও, তাঁর নেতৃত্ব কেড়ে নেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড৷
আর এবার, সেই বিবাদের সূত্র ধরেই অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত ৩১ বছর বয়স্ক এই ক্রিকেটারের৷ প্রসঙ্গত, ৩২৫টি একদিনের ক্রিকেটে তাঁর স্কোর ৬,৬৯৫ রান৷ আর উইকেট সংগ্রহ ৩১৫টি৷ এছাড়া, ২৭টি টেস্ট ম্যাচে মোট ১,৭১৬ রান এবং ৪৮টি উইকেটও নিয়েছিলেন শহিদ আফ্রিদি৷
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক