1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আদালত প্রাঙ্গনে কান্নায় ভেঙে পড়েন গ্রামীণ ব্যাংক কর্মীরা

৫ মে ২০১১

সর্বশেষ আইনি লড়াইয়েও হেরে গেলেন গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস৷ তাঁর আইনজীবীরা রিভিউ আবেদন করার কথা বলেছেন৷

https://p.dw.com/p/119O7
আইনি লড়াইয়ে আরও এক ব্যর্থতাছবি: public domain

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, ড. ইউনূসের আর এক মূহূর্তও গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকার আইনগত বৈধতা নেই৷ রায়ের পর গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ সারা দেশের শাখা অফিসে কর্মবিরতি শুরু করছেন গ্রামীণ ব্যাংক কর্মচারীরা৷

নির্ধারিত বয়স উত্তীর্ণ হয়ে গেছেন, এই কারণ দেখিয়ে গত ২রা মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থানা পরিচালকরে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়৷ এই আদেশের বিরুদ্ধে ড. ইউনূস এবং ৯ পরিচালক আইনি লড়াই শুরু করেন৷ হাইকোর্ট এবং এরপর সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে তারা আইনের লড়াইয়ে হেরে যান৷ এরপর তারা আবারো রায় বাতিলের আবেদন করেন৷ তিনদিন শুনানির পর আজ আপিল বিভাগ সে আবেদনও খারিজ করে দেয়৷ সাংবাদিকদের সেকথা জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম৷

Friedensnobelpreis für Mohammed Junus
ড. ইউনূসকে হারিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক পরিবার মর্মাহতছবি: AP

রায়ের পর ড. ইউনূসের আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান৷ ড. কামাল হোসেন জানান হাইকোর্ট ভুল করেছে৷ কিন্তু তা সংশোধনের সুযোগ দিলেন না আদালত৷ ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, দেশে আইনের শাসন চলছে, না ক্ষমতার শাসন চলছে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন৷ আর ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ জানান, তারা এই রায়ের ব্যাপারে রিভিউ আবেদন করবেন৷

এদিকে রায়ের পর আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক এবং কর্মীরা৷ সেখানে পরিচালক রেজিনা বেগম ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান৷ তবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সে সুযোগ নেই৷ কারণ ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদে সরকার মনোনীত কাউকে চেয়ারম্যান করার নিয়ম৷ রায়ের পর গ্রামীণ ব্যাংক কর্মীরা সারাদেশে কর্মবিরতি শুরু করেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক