1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আজ ভোট ইরাকে, ফলাফল ত্রিশঙ্কু হওয়ার সম্ভাবনা

৭ মার্চ ২০১০

নিরাপত্তা পরিস্থিতির অনিশ্চয়তার মধ্যেই আজ সংসদীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ইরাকে৷ ফলাফল হওয়ার সম্ভাবনা ত্রিশঙ্কু, বলছে সমীক্ষা৷ আল কায়েদার হুমকিও রয়েছে৷ কিন্তু মুকতাদা আল সদর ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/MM7y
ইরাকের ভোটচিত্র স্বাভাবিক কিন্তু নিরাপত্তার প্রশ্ন রয়েই গেছেছবি: AP

ইরাকের পবিত্র শহর নাজাফে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নয়জন প্রাণ হারিয়েছেন শনিবার৷ ইরাকি আল কায়েদার উদ্দেশ্যই ছিল শিয়াপন্থী তীর্থযাত্রীদের ওপর হামলা চালানো৷ নির্বাচনের মুখে আতঙ্ক আর সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করা৷ হামলাস্থল পরিদর্শন করে এই মন্তব্য নাজাফের আঞ্চলিক কাউন্সিলের প্রধান ফায়েদ আল শিমারির৷ বস্তুত, এই পরিস্থিতির সূত্রপাত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই৷ ইরাকে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসুক, এমনটা চাইছে না জঙ্গি সংগঠনগুলো, বিশেষ করে আল কায়েদা৷ নির্বাচন বয়কট করার ডাক দিয়েছে তারা৷ ভোটগ্রহণ চলাকালে সন্ত্রাসের হুমকি তো আছেই৷

মূলত, সুন্নি মুসলিম সংগঠন হিসেবে অ্যামেরিকা বিরোধী আল কায়েদার এই হুমকির পাশাপাশি কিন্তু নতুন কথা শুনিয়েছেন শনিবার শিয়াপন্থীদের ধর্মীয় নেতা মুকতাদা আল সদর৷ প্রায় দুই বছর পরে ইরানের কোম শহর থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন এই তরুণ নেতা৷ বলেছেন, ইরাকের সংসদীয় নির্বাচনে সাধারণ নাগরিকরা যেন অবশ্যই ভোট দেন৷ অ্যামেরিকা বিরোধী বলে পরিচিত এই শিয়াপন্থী ধর্মীয় নেতা বিগত অনেকদিন যাবত ইরানের কোম শহরে পড়াশোনা করছেন বলে জানা গেছে৷ ইরাকের শিয়াপন্থীদের ওপর তাঁর প্রভাব যথেষ্ট৷ ফলে আল সদরের ভোট দেওয়ার আহ্বানের পর ধারণা করা হচ্ছে, রবিবারের নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ হবে ভালো মাত্রাতেই৷তবে ৩২৫ টি আসন বিশিষ্ট ইরাকের সংসদীয় নির্বাচনের ফলাফল ত্রিশঙ্কু হওয়ার সম্ভাবনাই জোরদার বলে মতপ্রকাশ করছে মিডিয়া৷ বলা হয়েছে, ভোটারদের যেরকম মতিগতি তাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোন রাজনৈতিক জোটই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না৷ সেরকম হলে তারপরের পরিস্থিতি হল সরকার গড়ার জন্য পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং দীর্ঘমেয়াদে সময়ক্ষেপ৷ যার সোজা অর্থ, প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আবারও মাথাচাড়া দেওয়ার সাহস পাবে কিছুটা ঝিমিয়ে পড়া সন্ত্রাস৷

Anschlag im Irak Flash-Galerie
পবিত্র শহর নাজাফে শনিবারের বিস্ফোরণের পরছবি: AP

২০০৫ সালের শেষ সংসদীয় নির্বাচনের সময় ভিন্ন পরিস্থিতি ছিল ইরাকে৷ সে সময় লক্ষাধিক মার্কিন সেনার উপস্থিতি নিরাপত্তা পরিস্থতির দায়িত্ব অনেকটাই ভাগ করে নিয়েছিল৷ কিন্তু বর্তমানে দশ হাজারেরও কম মার্কিন সেনা ইরাকে রয়েছে৷ সন্ত্রাসের মাত্রাও কিছুটা কমেছে আগের নির্বাচনের তুলনায়৷ এবারের সংসদীয় নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলে গণতন্ত্রের দিকে অনেকটাই এগোতে পারবে যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশটি৷ এই মুহূর্তে সেই প্রয়োজনীয়তাই সবচেয়ে বেশি৷

প্রতিবেদক - সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা - হোসাইন আব্দুল হাই