1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আগে চাই সম্প্রচার কমিশন’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৫ আগস্ট ২০১৪

মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হওয়া সম্প্রচার নীতিমালা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেবে – বলেন সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা৷ তাঁদের কথায়, সম্প্রচার কমিশন গঠনের পর সবার মতামতের ভিত্তিতে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে৷

https://p.dw.com/p/1D08o
‘‘সম্প্রচার নীতিমালা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেবে’’ছবি: Fotolia/picsfive

গত ৫ই আগস্ট সম্প্রচার নীতিমালার গেজেট প্রকাশ হয়৷ তবে এর আগে থেকেই এই নীতিমালা চরম সমালোচনার মুখে পড়ে৷ আর রবিবার ঢাকায় আর্টিকেল ১৯সহ আটটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আয়োজিত এক আলোচনা সভাতেও এর ব্যতিক্রম ছিল না৷

সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, আসলে এই নীতিমালা নিয়ে আলোচানার তেমন কোনো প্রয়োজন নেই৷ কারণ নীতমালা তৈরি হবে সম্প্রচার কমিশন গঠন করার পরে৷ তার আগে তৈরি করা নীতিমালা গ্রহণযোগ্য নয়৷ তিনি বলেন, সে কারণে আগেই সম্প্রচার কমিশন কেমন হবে – তা নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন৷ তাঁর কথায়, সম্প্রচার কমিশন কোনোভাবেই অবসরপ্রাপ্ত আমলা বা সামরিক কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠন করা যাবে না৷ এই কমিশন গঠন করতে হকে সাংবাদিক, সাংবাদিকতার শিক্ষক এবং সাংবাদিকতায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে৷

তিনি জানান, নীতিমালা সাংবাদিকদেরই দাবি৷ কিন্তু তাঁদের দেয়া মতামত উপেক্ষা করে আমলাদের পরামর্শে এই নীতিমালা হয়েছে, যা দুঃখজনক৷

টিআইবি-র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই নীতিমালায় শুধু সম্প্রচার সাংবাদিকতা নয় পুরো গণমাধ্যমের স্বাধীনতাই ঝুঁকির মুখে পড়বে৷ এছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হলে দেশের সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ ক্ষতিগ্রস্ত হবে গণতন্ত্র৷ তিনি বলেন, সম্প্রচার নীতিমালা মনযোগ দিয়ে পড়লে এর উদ্দেশ্য বোঝা যায়৷ এর উদ্দেশ্যই হলো মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা৷ এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না৷ কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে এই নীতিমালায় ছাড় দেয়া হয়েছে, যা কোনোভাবেই ন্যায় নয়৷

Symbolbild Europäischer Gerichtshof Übertragungsrechte Fußballspiele
‘‘সম্প্রচার নীতিমালা মনযোগ দিয়ে পড়লে বোঝা যায় এর উদ্দেশ্যই মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা’’ছবি: picture-alliance/dpa

ব্লাস্ট-এর অনারারি নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসন বলেন, এই নীতিমালায় যেসব শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তাও আপত্তিকর৷ এ সব শব্দের কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয় হয়নি৷ যেমন: কুরুচিপূর্ণ, দেশীয় সংস্কৃতি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী৷ ফলে এই সব শব্দই পরে সুবিধা অনুযায়ী ব্যাখ্যা করে গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘নীতিমালার ভাষা এবং নীতি দেখলে মনে হয় আমরা আগের যুগেই আছি৷ কোনো পরিবর্তন নেই৷ সামরিক শাসনামলের ভাষা এবং এই ভাষা একই রকম৷''

নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের পারভিন সুলতানা বলেন, এই নীতিমালায় নারী সাংবাদিকদের অধিকার এবং নিরাপত্তার ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা নেই – যা তাঁদের হতাশ করেছে৷

আর্টিকেল ১৯-এর বাংলাদেশের পরিচালক তাহমিনা রহমানের সঞ্চালনায় সিরডাপ মিলনায়তনে ‘‘সম্প্রচার নীতিমালা: উদ্বেগ ও করণীয়' – শীর্ষক আলোচনা সভায় সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষকসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন৷ সঞ্চালক তাহমিনা রহমান বলেন, সাংবাদিকতার নীতিমালা হতে হবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে৷

আয়োজক সংগঠনগুলোর মধ্যে আর্টিকেল ১৯ ছাড়াও আছে ব্লাস্ট, বিএনএসকে, আইইডি, এমএমসি, নিজেরা করি এবং টিআইবি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য