আকাশ থেকে যখন বাড়ি ঝুলবে!
মাটিতে উঁচু বাড়ি বানানো এমন কি আর শক্ত৷ কিন্তু এ ধরনের একটি ‘স্কাইস্ক্রেপার’ বা গগনচুম্বী বাড়ি কি সত্যিই ‘স্কাই’, মানে আকাশ থেকে ঝোলানো সম্ভব? দৃশ্যত তারই প্রস্তুতি চলেছে...
অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণু থেকে ঝোলানো হবে যে ‘বাড়ি’
ধরিত্রীর বুকে জমি সীমিত৷ তাই বাড়ি তৈরি করার জন্য এখন পানি কিংবা আকাশের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে৷ ‘ক্লাউডস আর্কিটেক্ট’ বা ‘মেঘমণ্ডলের স্থপতিরা’ তাই এবার অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণু, সহজ কথায় উল্কাপিণ্ড থেকে বাড়ি ‘ঝোলানোর’ পরিকল্পনা করছেন৷ এভাবে যে বহুতল ভবনটি তৈরি হবে, তার নাম রাখা হবে আনালেম্মা টাওয়ার এবং তা হবে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ার৷ অবশ্য যদি সত্যিই তা তৈরি হয়...
ক্লাউডস আর্কিটেকচার
এই টাওয়ারের ভিত্তি কিন্তু মাটির পৃথিবীতে হবে না৷ নিউ ইয়র্কের ক্লাউডস আর্কিটেকচার অফিসের কল্পনা বা পরিকল্পনা অনুযায়ী গোটা বাড়িটা মজবুত তার দিয়ে ঝোলানো থাকবে পৃথিবীর চারপাশে চক্কর কাটা কোনো অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণু – সহজ ভাষায় উল্কাপিণ্ড থেকে৷
নিছক কল্পনা নয়
২০১৫ সালে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি একটি চলন্ত অ্যাস্টেরয়েডের উপর একটি রোভার যান নামিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছে যে, অ্যাস্টেরয়েড অবধি পৌঁছানো সম্ভব৷ মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা ২০২১ সালের মধ্যে একটি উপযুক্ত গ্রহাণু খুঁজে বার করতে চায়৷
জল আর বিদ্যুতের সরবরাহ
অ্যাস্টেরয়েড থেকে ঝোলানো আনালেম্মা টাওয়ারের বিদ্যুৎ আসবে সোলার প্যানেল থেকে, অপরদিকে বৃষ্টিবাদলা থেকে পাওয়া যাবে পানি৷ গোটা ভবনটির ব্যবহৃত পানি রিসাইকেল করা হবে৷
খুবই হাল্কা হবে মেঘের কোলে উল্কাপ্রাসাদ
আনালেম্মা টাওয়ারের ডিজাইনার অস্টাপ রুদাকেভিচ-এর বিবৃতি অনুযায়ী ভবনটি কার্বন ফাইবার বা অ্যালুমিনিয়ামের মতো অতি হাল্কা পদার্থ দিয়ে বানানো হবে৷
যেন গোটা শহর!
আনালেম্মা টাওয়ারে যে শুধু বসবাসের জায়গা থাকবে, এমন নয়৷ সেখানে অফিস-কাছারি থেকে শুরু করে বাজার, রেস্টুরেন্ট, শপিং সেন্টার, কাফে ইত্যাদি সবই থাকবে৷ ভবনের ওপরতলায় থাকবে অফিস৷ তলার দিকে থাকবে আবাসিক এলাকা, এছাড়া উপাসনা থেকে শুরু করে অন্তিম সংস্কারের স্থান৷
আপাতত অকল্পনীয়...
এরকম একটি ভবনে থাকতে কেমন লাগবে, তা আপাতত জানার কোনো উপায় নেই৷ তবে টাওয়ারের বাসিন্দারা পৃথিবীর এক বা একাধিক অপূর্ব দৃশ্য দেখবেন৷ কিন্ত কোনো কাজের জন্য সেই মাটির পৃথিবীতে আসতে হলে প্যারাশুট নিয়ে ঝাঁপ খেতে হবে না তো?!?