1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইসল্যান্ডে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বিমান সংস্থাগুলির মাথায় হাত

২৪ মে ২০১১

পরিস্থিতি এখনো গত বছরের মতো মারাত্মক না হলেও আইসল্যান্ডে গ্রিমসভ্যোটন আগ্নেয়গিরি আবার জেগে ওঠায় আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে ছাইমেঘ৷ বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক৷

https://p.dw.com/p/11N2d
আইসল্যান্ডের গ্রিমসভ্যোটন আগ্নেয়গিরিছবি: dapd

বছরে একবার করে যদি আগ্নেয়গিরির তাণ্ডবের কারণে বিমান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে ইউরোপের অর্থনীতির উপর বাড়তি চাপ পড়তে বাধ্য৷ এবার আর এইয়াফিয়াদলা বা এইয়াফিয়াদলাইয়োক্যুডল নয়, এবার অগ্ন্যুৎপাতের জন্য দায়ী গ্রিমসভ্যোটন৷ কিন্তু সমস্যাটা শুধু নাম বা তার উচ্চারণ হলে কারো কিছু বলার থাকতো না৷ কিন্তু ইউরোপের উত্তর-পশ্চিমে অগ্ন্যুৎপাত ঘটিয়ে গোটা মহাদেশের আকাশে তার ধোঁয়া ও বিমানের ইঞ্জিনের জন্য বিপজ্জনক পদার্থ ছড়িয়ে দেওয়ার ফলেই বিমান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে৷ তার উপর আকাশপথে কোথায়, কখন, কতটা বিপদের আশঙ্কা রয়েছে, তা বোঝা অত্যন্ত কঠিন৷ কিন্তু সব জেনেশুনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিমান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়াও চলে না৷ ফলে প্রকৃতির বিশাল শক্তির সামনে মানুষ আজও কতটা অসহায়, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে৷

NO FLASH Vulkan Island Störung Flugverkehr Grímsvötn
গত বছরের মত বিমান চলাচল আবার বিপর্যস্ত হতে পারেছবি: dapd

নিরপাত্তার মানদণ্ড নিয়ে বিতর্ক

গত বছর আইসল্যান্ডে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বেসামরিক বিমান চলাচলের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিকে বিশাল লোকসানের মুখ দেখতে বাধ্য হয়েছিল৷ ৬ দিনের অচলাবস্থার ফলে প্রায় ১ কোটি বিমানযাত্রী আটকে পড়েছিলেন৷ কোন অবস্থায় আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়া উচিত, সেই অভিজ্ঞতার পর এই মর্মে নির্দিষ্ট এক নীতিমালাও তৈরি হয়েছিল৷ বিপদের আশঙ্কার মাত্রা অনুযায়ী আকাশে তিন ধরণের ‘জোন' বা এলাকা চিহ্নিত করার পদ্ধতি তৈরি হয়েছিল৷ কিন্তু এবছরই যে সেই নীতিমালা প্রয়োগ করতে হবে, এমনটা কেউ ভাবে নি৷ ফলে এখন এই প্রশ্নে বড় বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে৷

জার্মানির মতো দেশ কোনো রকম ঝুঁকি নিতে রাজি নয়, অন্যদিকে বাকিরা এত কড়া নিয়ম মানতে চাইছে না৷ জার্মান পরিবহন মন্ত্রণালয় প্রশ্ন তুলেছে, আকাশে প্রতি বর্গ মিটার এলাকায় ২ মিলিগ্রাম বিপজ্জনক পদার্থ থাকলে যে নিরাপদে বিমান চালানো সম্ভব, তার প্রমাণ কী? জার্মানি গত বছরের সংকটের পর বিমানের ইঞ্জিন প্রস্তুতকারীদের বিশেষ পরীক্ষা চালানোর পরামর্শ দিয়েছিল৷ আয়ারল্যান্ডের ‘রায়ান এয়ার' অবশ্য এত সাবধানতার কোনো কারণ দেখছে না৷ তারা মঙ্গলবার স্কটল্যান্ডের আকাশে ‘রোড জোন'এ বিমান চালিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে, যে এতে কোনো বিপদের আশঙ্কাই নেই৷

Grimsvötn Island Vulkan Flughafen Keflavik
আইসল্যান্ডের কেফলাভিক বিমানবন্দরে আটকে পড়া যাত্রীছবি: AP

আগ্নেয়গিরির সর্বশেষ অবস্থা

আপাতত গ্রিমসভ্যোটন'এর কালো মেঘ স্কটল্যান্ডের দিকে এগোচ্ছে, জার্মানি তথা ইউরোপের আকাশ এখনো নিরাপদ রয়েছে৷ গ্রিমসভ্যোটন মঙ্গলবার গত কয়েক দিনের তুলনায় বেশ শান্ত রয়েছে৷ কিন্তু ধোঁয়া বেরোনো বন্ধ হয় নি, যদিও তার উচ্চতা প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে৷ ফলে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়ছে৷ বায়ুমণ্ডলের উচ্চ স্তরে ক্ষতিকারক পদার্থ পৌঁছানোর আশঙ্কা কমে এসেছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য