অ্যামেরিকা সফরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু
৬ জুলাই ২০১০মার্কিন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউজে স্বাগত জানাবেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে আজই৷ তাঁকে দেয়া হবে লাল গালিচা সংবর্ধনা৷ গত মার্চ মাসে নেতানিয়াহু যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন, এবার সে সময়ের চেয়ে বেশি সম্মান পাবেন তিনি - এ কথাই জানাচ্ছে সংবাদমাধ্যমগুলো৷ আন্তর্জাতিক বিষয়ে অভিজ্ঞরা বলছেন, দুই নেতার মধ্যে এবারের আলোচনার প্রাধান্য পাবে প্যালেস্টাইনের সঙ্গে ইসরায়েলের শান্তি আলোচনা শুরু করার বিষয়টিই৷ আর এ কথা তো জানাই আছে যে, ওবামা খুবই জোর দিচ্ছেন যত দ্রুত সম্ভব শান্তি আলোচনা শুরু করা যায়, তার ওপর৷
গত সপ্তাহে অবশ্য বারাক ওবামার এই চেষ্টায় ইতিবাচক সমর্থনও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু৷ তিনি বলেছেন, তিনিও চান ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে৷ তবে তার উপায়টি কি হবে, তা ঠিক করতে তিনি এবার কথা বলবেন প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে৷ হয়তো এই আলোচনায় একটি গ্রহণযোগ্য পন্থা খুঁজে বের করতে পারবেন তাঁরা৷
অবশ্য মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী না হওয়াই ভালো, এমন মন্তব্যও অনেকের৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই নেতার আলোচনায় পর্বতের মুসিক প্রসব হবার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি৷ বলে রাখা ভালো, ২০০৮ সালে ২২ দিন ধরে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় রকেট হামলা চালানোর কারণেই প্যালেস্টাইন এবং ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়৷
উল্লেখ্য, কথা ছিল এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে আরও এক মাস আগে৷ কিন্তু সেই সময় ঠিক থাকেনি৷ গত মাসে গাজার জন্য ত্রাণবাহী এক তুর্কি জাহাজে আক্রমণ এবং ৯ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর, পাল্টে দেয়া হয় ওবামা- নেতানিয়াহুর বৈঠকের দিনক্ষণ৷ সে সময় বেশ খানিকটা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়াই প্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার৷ ফলে দু’দেশের সম্পর্কে খানিকটা শীতল বরফ জমেছিল বলেও মনে করা হচ্ছে৷
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ওবামা এই অবস্থা দীর্ঘদিন চলতে দিতে রাজি নন৷ রাজনীতি সচেতনরা মনে করছেন, এ ধরণের সম্পর্ক আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনে বারাক ওবামার দলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে৷ তাই এই ধরণের ঝুঁকি কেন নেবেন এই রাষ্ট্র নায়ক ?
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার, সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম