অ্যামেরিকার মিলিশিয়ারা
নব্বই দশকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দেশটিতে নব্য ডানপন্থি মিলিশিয়া আন্দোলনের সূচনা করে৷ এই আন্দোলন পূ্র্ববর্তী প্যারামিলিটারি ও সরকারবিরোধী ঐতিহ্যকে লালন করে৷ এদের দাবি, এরা সরকার নিয়ন্ত্রিত নয়৷
ফিল্ড ট্রেনিং
গেল ২৯শে জুলাই স্বঘোষিত দেশপ্রেমিক মিলিশিয়া গ্রুপগুলো কলোরাডো রাজ্যের ফাউন্টেইন শহরের বাইরে একটি ফিল্ড ট্রেনিংয়ের আয়োজন করে৷ তিন দিন ব্যাপী এই ট্রেনিংয়ে ১৫টি রাজ্যের ৩২৫ জন মিলিশিয়া অংশ নেন৷
দেশপ্রেমিক মিলিশিয়া
‘উই দ্য পিপল’ লেখা এই ট্যাটুটি একজন মিলিশিয়ার হাতে আঁকা৷ ছবিটি শুটিং প্রশিক্ষণের সময় তোলা৷ মাইক মরিস নামের এখানকার এক নেতার ভাষায়, তারা এখানে সব ‘দেশপ্রেমিক’-দের জড়ো করেছেন৷ তিনি আশা করেন, এরা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে গিয়ে এই প্রশিক্ষণ অন্যদের মাঝেও ছড়িয়ে দেবেন৷
সশস্ত্র বিপ্লব নয়
মরিস দাবি করেছেন, এটি কোনো সশস্ত্র বিপ্লব নয়৷ তবে যেভাবে সরকার চলছে, তার সঙ্গে তারা একমত নন৷ তাঁর হিসেবে, ৬০ হাজার মানুষ তাদের এই আন্দোলন সমর্থন করেন, কেউ সশরীরে, কেউ ইন্টারনেটের মাধ্যমে৷
লক্ষ্য অবিচল
এটি একটি টার্গেট প্র্যাকটিস ইভেন্ট৷ এভাবেই টার্গেট ধরে মিলিশিয়ারা শুটিং প্র্যাকটিস করেন৷ গ্রুপটির আরেক সদস্য কুকি বলছেন, ‘‘আমরা সংবিধান মানি৷ সেখানে বলা আছে, এই সংবিধান সবার জন্য৷ ডান-বাম, কালো-সাদা, মুসলিম-খ্রিষ্টান সবার৷ আমাদের এখানেও সবাই আমন্ত্রিত৷’’
প্রতীকী পোশাক
ফিল্ড ট্রেনিংয়ের সময় অনেক সদস্যের হাতেই এমন প্রতীকী প্যাচ দেখতে পাওয়া যায়, যেখানে লেখা ছিল, ‘শতভাগ দেশপ্রেমিক’৷ এছাড়াও বিভিন্ন প্রতীকী ছবিও পড়েন তারা৷
বন্দুক ও গোলা
নানান ধরনের মারণঘাতী বন্দুক ও গোলা দিয়েই প্রশিক্ষণ নেন মিলিশিয়ারা৷ তাদের বিরুদ্ধে অবশ্য কয়েকটি সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করার অভিযোগ আছে৷
সরকার ও জনগণের মাঝখানে
স্যানটোরো নামের এক সদস্য বলেন, ‘‘অ্যামেরিকার জনগণ ও সরকারের মাঝে যদি কেউ থাকে তাহলে তা হলাম আমরা বা কোনো সংবিধান মেনে চলা কোনো মিলিশিয়া গ্রুপ৷ আমরা সরাসরি সরকার বিরোধী নই৷ তবে ওবামা প্রশাসনের আগের আট বছর থেকে সরকার যেভাবে চলছে, তাতে আমাদের আপত্তি আছে৷’’