1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্থিরতা বেড়েই চলেছে ইরানে

২ জানুয়ারি ২০১৮

ইরানে সরকারবিরোধীদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষে মঙ্গলবার রাতে অন্তত ন'জনের নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে৷ সেখানে বিক্ষোভকারীরা থানা থেকে অস্ত্র চুরি করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2qDAx
Iran Proteste | Tuyserkan
ছবি: Reuters/IRINN

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দেশটির কাহদেরিজান শহরে থানা লুট করার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছ'জন মারা যান৷ এছাড়া খোমেইনশাহরে ১১ বছর বয়সি এক শিশু ও ২০ বছর বয়সি এক যুবকের মৃত্যু হয়৷ আর নাজাফাবাদ শহরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্য মারা গেছেন৷ এই তিন জনই শিকার করার রাইফেলের গুলিতে মারা গেছেন বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দাবি করেছে৷ এ নিয়ে গেল দু'দিনেই অন্তত ২১ জনের নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে৷

এদিকে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ইরানে যেন কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ না পড়ে মঙ্গলবার সে ‘‘আশা'' প্রকাশ করেছে তুরুস্ক৷

ইরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা আইএলএনএ জানিয়েছে যে, গেল তিন দিনে সাড়ে চারশ' বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তেহরানের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংস্থাটি বলছে, এদের মধ্যে গেল শনিবার ২০০ জনকে, রবিবার ১৫০ জনকে এবং সোমবার ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়৷

New protests in Iran

ইরানে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও ভঙ্গুর অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রতিবাদে ছয়দিন আগে শুরু হওয়া বিক্ষোভ পরে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়৷ বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন পর্যায়ের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন৷ আরব অঞ্চলে চলমান সংঘাতে ইরানের সম্পৃক্ততারও প্রতিবাদ জানান৷ বিশেষ করে সিরিয়ায় আসাদ সরকারকে অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা দেয়ার বিষয়টির সমালোচনা করেন বিক্ষোভকারীরা৷

ইরানের প্রেসিডেন্ট রোহানি জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান৷ একইসঙ্গে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবারও হুঁশিয়ারি দেন৷ কিন্তু তাতেও বিক্ষোভ থামেনি৷ বরং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিবাদকারীরা নানা শহরে বিক্ষোভের ডাক দেন৷ কর্তৃপক্ষ টেলিগ্রাম নামের বার্তা আদান প্রদানকারী অ্যাপটি বন্ধ করে দিয়েছে৷

এর আগে, ইরান সরকার ও বিক্ষোভকারী উভয় পক্ষকেই সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জার্মানি৷

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য বিক্ষোভকারীদের সমর্থন দিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন যে, ইরানের জনগণ ‘‘খাবার ও স্বাধীনতা দু'টোর জন্যই ক্ষুধার্ত৷''

জেডএ/ডিজি