অস্ত্রোপচার শেষে দেশে ফিরলেন আজম খান
২৫ আগস্ট ২০১০তিনি এখন প্রায় সুস্থ৷ তবে থেরাপি নেওয়ার জন্য সেপ্টেম্বর মাসে আবারও সিঙ্গাপুর যেতে হবে বলে পারিবারিক সূত্রের খবর৷ তাঁকে থেরাপি দেওয়া শুরু হবে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে৷ মুখ গহ্বরে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর ১৪ জুলাই তিনি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান৷ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তাঁর সফল অস্ত্রোপচার করা হয় ২১ জুলাই৷
কিংবদন্তি এই পপ শিল্পীর পুরো নাম মাহবুবুল হক খান৷ তবে সবার কাছে পরিচিত আজম খান হিসেবে৷ জন্ম ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুরের ১০ নং কলোনিতে৷ ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানের সময় আজম খান পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন৷ তখন তিনি ‘ক্রান্তি’ শিল্পী গোষ্ঠী'র সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণের বিরুদ্ধে গণসঙ্গীত প্রচার করেন৷ ১৯৭১ সালে আজম খানের বাবা আফতাব উদ্দিন খান সচিবালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন৷ বাবার অনুপ্রেরণায় যুদ্ধে যাবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন আজম খান৷ মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায় সংঘটিত কয়েকটি গেরিলা অভিযানে তিনি অংশ নেন৷
বিয়ে করেছিলেন ১৯৮২ সালে৷ স্ত্রী মারা যাবার পর থেকে একাকী জীবন এই প্রথিতযশা শিল্পীর৷ আজম খান দুই মেয়ে এবং এক ছেলের জনক৷ আজম খানের কর্মজীবনের শুরু প্রকৃতপক্ষে ৬০ দশকের শুরুতে৷ ৭১ এর পর তাঁর ব্যান্ড ‘উচ্চারণ' এবং আখন্দ ভ্রাতৃদ্বয় দেশব্যাপী সঙ্গীতের জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করে৷ প্রথম কনসার্ট সম্প্রচারিত হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনে ১৯৭২ সালে৷
‘এতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে' আর ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে' গান দুটি সরাসরি প্রচারিত হয় বিটিভিতে৷ ব্যাপক প্রশংসা আর তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দিলো এ দুটো গান৷ দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়ে গেলো তাদের দল৷ আজম খান ১৯৭৪-১৯৭৫ সালের দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘রেললাইনের ঐ বস্তিতে' গান গেয়ে হইচই ফেলে দেন৷ আজম খানের গানের ১৭টি একক অ্যালবাম রয়েছে৷ রয়েছে অনেক মিশ্র অ্যালবামও৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম