1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্কারের নাটক: প্রাক্তন স্বামী-স্ত্রী পরষ্পরের মুখোমুখি

৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০

মঙ্গলবার অস্কার মনোনয়নের ঘোষণায় ন’টি বিভাগে নাম করা হয়েছে জেমস ক্যামেরনের ‘‘অবতার’’ ছবির, এবং ন’বার তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী ক্যাথ্রিন বিগেলো’র ‘‘দ্য হার্ট লকার’’ ছবিটির৷

https://p.dw.com/p/Lq9t
‘‘অবতার’’-এর জন্য সদ্য গোল্ডেন গ্লোব পেয়েছেন জেমস ক্যামেরনছবি: AP

কিন্তু নাটকের ওখানেই শেষ নয়৷ বস্তুত ক্যামেরন এবং বিগেলো সেরা চিত্রপরিচালক বিভাগে পরষ্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী৷ ‘‘অবতার'' একটি প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের সায়েন্স ফিকশন স্পেস এ্যাডভেঞ্চার৷ টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের মতো বড় স্টুডিও'র ছবি৷ এযাবৎ বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে রোজগার করছে দুই বিলিয়ন ডলার এবং সেই হিসেবে ক্যামেরনের ‘‘টাইট্যানিক''-কেও ছাড়িয়ে গেছে৷ - ঠিক তার উল্টো হল বিগেলো'র ‘‘হার্ট লকার''৷ কম বাজেটের ফিল্ম৷ কাহিনী ইরাকে যে সৈন্যরা বোমা নিষ্ক্রিয় করে, তাদের নিয়ে৷ স্টুডিও বলতে এক স্বাধীন ‘‘সামিট এন্টার্টেনমেন্ট''৷ যা খরচ হয়েছে, প্রায় তাই রোজগার করেছে, সাকুল্যে ১৬ মিলিয়ন ডলার৷

সেরা ছবির বৈচিত্র্য

তবে এ'ও বলা দরকার, অস্কারের ৮০ বছরের ইতিহাসে বিগেলোর আগে মাত্র তিনজন মহিলাকে পরিচালকের অস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে, এবং তাদের কেউই শেষমেষ পুরষ্কার পাননি৷ - আটটি বিভাগে মনোনীত হয়েছে কোয়েন্টিন টারান্টিনো'র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফ্যান্টাসি, ‘‘ইনগ্লোরিয়াস বাস্টর্ডস''৷ সেরা ছবি বিভাগে মনোনয়নের সংখ্যা পাঁচ থেকে ১০ করায় এবার কিছু অভিনবত্ব এসেছে: বেস্ট ফিল্ম হিসেবে মনোনীত হয়েছে ডিসনি'র এ্যানিমেটেড, অর্থাৎ কার্টুন ছবি ‘‘আপ'', এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সায়েন্স ফিকশন ছবি ‘‘ডিস্ট্রিক্ট নাইন''৷

অদ্বিতীয়া মেরিল স্ট্রীপ

অভিনয়ে সেরা অভিনেতা হিসেবে জেফ ব্রিজেস-এর নাম শোনা যাচ্ছে ‘‘ক্রেজি হার্ট'' ছবিতে এক মাতাল কান্ট্রি গায়কের ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য৷ সেরা অভিনেত্রী হিসেবে পাক্কা বাজি নাকি ‘‘দ্য ব্লাইন্ড সাইড''-এ স্যান্ড্রা বুলক: ছবিতে তিনি এক ধনী মহিলা, যিনি একটি রাস্তার ছেলেকে মার্কিন ফুটবলের স্টার হয়ে উঠতে সাহায্য করছেন৷ তবে যাঁর নাম সবার মুখে, তিনি হলেন মেরিল স্ট্রীপ: ‘‘জুলি এ্যান্ড জুলিয়া''-তে এক চেফ রাঁধুনীর ভূমিকায় রোলের জন্য তাঁর ১৬ নম্বর অস্কার মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন - তার মধ্যে ১৩ বার মুখ্য অভিনেত্রী হিসেবে৷ অর্থাৎ এই বিচারে তিনি এবার ক্যাথরিন হেপবার্নকেও পিছনে ফেলে দিলেন৷

জার্মানির ‘‘সাদা ফিতে''

সেরা বিদেশী ছবি বিভাগে যে ছবিটি নিশ্চিত জিতবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে, সেটি হল জার্মানির সাদা-কালো ছবি ‘‘দ্য হোয়াইট রিবন''৷ পরিচালক অস্ট্রিয়ার মিশায়েল হানেকে৷ ছবিটিতে নাৎসী সন্ত্রাসের উৎসের সন্ধান করা হয়েছে৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে উত্তর জার্মানিতে এক পর্যায় রহস্যজনক অপরাধ ঘটছে, এই হল ছবির উপজীব্য৷ ছবিটি ইতিপূর্বে কান-এ পাম দ'র এবং হলিউডে গোল্ডেন গ্লোব জিতেছে৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম