1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অশালীন মন্তব্য করায় ইংলিশ স্পিনার সোয়ানকে জরিমানা

১২ মার্চ ২০১১

ভাগ্যটা সত্যিই খারাপ ইংলিশ দলের৷ তা না হলে একের পর এক বিপদ কেন আসবে? বাংলাদেশের কাছে সর্বশেষ ধরাটা খাবার পর সেটাই তো প্রমাণ হলো৷ আর তার উপর স্পিনার গ্রায়েম সোয়ান মুখোমুখি হলেন জরিমানার৷

https://p.dw.com/p/10Xzx
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ এবং ইংল্যান্ডের খেলাছবি: picture alliance/empics

বাংলাদেশের কাছে দুই উইকেটে হেরে যাবার পর নিজেদের দলের অবস্থা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে ইংলিশদের৷ আসলে গতকাল মনে হয় বেশ মাথা গরম ছিল ইংলিশ খেলোয়াড়দের৷ বিশেষ করে স্পিনার গ্রায়েম সোয়ানের৷ চট্টলায় প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল তারা৷ এরপর বোলিং৷ কিন্তু সমস্যা সেখানেই৷ বাংলাদেশের মারকুটে ব্যাটসম্যানদের সব দিক বুঝে শুনে খেলায় পরাজয়ের আশঙ্কাটা যেন আগেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল ইংলিশ দলের৷

সেই সঙ্গে মাঠের বিন্দু বিন্দু শিশিরের কারণে বল ঠিকভাবে করতে পারছিলেন না ইংলিশ বোলাররা৷ তাই পুরানো বল বদলে ফেলতে চাচ্ছিলেন স্পিনার গ্রায়েম সোয়ান৷ আম্পায়ার ড্যারেল হার্পারকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন বল পরিবর্তনের৷ কিন্তু খেলার তো নিয়ম আছে! চাইলেই তো আর সব হয়না৷ তাই আম্পায়ার রাজি হচ্ছিলেন না৷ ফলে বেশ রেগে যান স্পিনার গ্রায়েম সোয়ান৷

হার্পারকে বল পরিবর্তনে বাধ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে তাঁর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্যও করে বসেন তিনি৷ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আম্পায়ার জানিয়ে দেন ম্যাচ নিয়ন্ত্রকদের কানে৷ আর যেহেতু পিচের সঙ্গে থাকে মাইক্রোফোন তাতেও ধরা পড়ে সেই অশালীন বক্তব্য৷ ছড়িয়ে যায় টেলিভিশনের কল্যাণে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের লাখো দর্শকের কাছে৷ কেউই এই কথায় খুশি হননি৷ খেলার ধারাভাষ্যকার ডেভিড লয়েড তো তাত্ক্ষণিকভাবে টেলিভিশন দর্শকের কাছে সোয়ানের হয়ে ক্ষমাও চেয়ে নেন৷ পরে মাঠে নিয়োজিত আম্পায়ারদের কাছে ক্ষমা চান সোয়ান নিজেও৷

যা হোক যে ঘটনা ঘটে গেছে, তার তো মূল্য দিতে হবে! আইসিসি বিষয়টিকে খুব কড়াভাবে নিয়েছে৷ আজ শনিবার আইসিসি জানিয়েছে, সোয়ানের বিরুদ্ধে আইসিসির আচরণবিধির প্রথম পর্যায় লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে৷ আর এ ধরণের অশালীন মন্তব্য করবার কারণে সোয়ানকে তাঁর ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই