অভিনব অভিজ্ঞতার জন্য প্রস্তুত দক্ষিণ আফ্রিকা
১০ জুন ২০১০আর মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পর্দা উঠতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের৷ আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ এখন মাতোয়ারা বাফানা বাফানা ছন্দে৷ এই প্রথম স্বাগতিক দেশ তারা, তাই এবারই ফুটবলে ইতিহাস গড়তে চায় তারা৷ জাতীয় দলকে ঘিরে সাধারণ মানুষের আশা এখন আকাশচুম্বি৷ এক সমর্থক বললেন, ‘‘আমাদের ছেলেরা তৈরি, আমরা তৈরি বিশ্বজয় করতে৷'' আরও এক সমর্থকের বক্তব্য, ‘‘বাফানা বাফানারা এবার সবাইকে অবাক করে দেবে, তা দেখার জন্য আমার আর তর সইছে না৷''
একটা সময় ছিল যখন দক্ষিণ আফ্রিকা আর বর্ণবাদ ছিল সমান্তরাল৷ কিন্তু গত দুই দশকে তারা সে অধ্যায়কে পেছনে ফেলে এসেছে৷ ২০০৩ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সফল আয়োজক ছিল তারা৷ এবার ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করে ইতিহাসের সেই কালো অধ্যায়কে যেন একেবারে মুছে ফেলতে চায় নেলসন ম্যান্ডেলার দেশ৷ দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ সমাজ ভুলে যেতে চায় তাদের সেই পুরনো স্মৃতি৷ এমনই এক তরুণ বললেন, আমার বাবা ছিলেন সেই বর্ণবৈষম্যের দিনগুলোতে৷ আমি যদি তাকে বলতাম আজকের মত এমন একটা দিনে আমি থাকবো সে বিশ্বাসই করতে চাইতো না৷ আমি সত্যিকার অর্থে মনে করি যে খেলাধুলা আমাদেরকে এক করে তুলছে এবং এটা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য একটি দারুণ ব্যাপার৷
এদিকে বিশ্বকাপের জ্বরের ছোঁয়া যে কেবল দেশে দেশে লেগেছে তাই নয়, এই ছোঁয়া লেগেছে সেই সুদূর জনমানবহীন এ্যান্টার্কটিকার বরফে ঢাকা এলাকাতেও৷ সেখানকার কেসি স্টেশনে কর্মরত ক্রুদের অনেকে রয়েছেন যারা অস্ট্রেলিয়ার কড়া সমর্থক৷ আর এবারের বিশ্বকাপে খেলছে ‘সকারু'রা৷ তাই তারা টিভিতে না হোক, রেডিওতেই ফুটবল ম্যাচ উপভোগ করবেন বলে জানিয়েছেন৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন