1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বন্যা আহমেদের একান্ত সাক্ষাৎকার

আরাফাতুল ইসলাম৫ মে ২০১৬

ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের পর আজ অবধি বাংলাদেশের পুলিশ বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ তাঁর স্ত্রী বন্যা আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি৷ পাশাপাশি খুনিদের ধরার ব্যাপারেও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে পুলিশ, মনে করেন বন্যা আহমেদ৷

https://p.dw.com/p/1Iidh
রাফিদা আহমেদ বন্যা
ছবি: DW/J. Röhl

গতবছর ফেব্রুয়ারি ঢাকায় দুর্বৃত্তের হামলায় প্রাণ হারান লেখক, ব্লগার অভিজিৎ রায়৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়, যার দায় স্বীকার করেছে উগ্রপন্থি একটি ইসলামি গোষ্ঠী৷ সেই হামলায় গুরুতর আহত হন রায়ের স্ত্রী বন্যা আহমেদ যিনি বর্তমানে ডয়চে ভেলের দ্য বব্স প্রতিযোগিতার একজন বিচারক হিসেবে কাজ করছেন৷

জার্মানির রাজধানী বার্লিনে দ্য বব্সের বিচারকমণ্ডলীর বৈঠকের পর ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বন্যা আহমেদ৷ অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি জানান, ঘটনার পর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তিনি যাদের শনাক্ত করেছিলেন, তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি৷ বরং রায় হত্যাকাণ্ডের যাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, তারা কেউই সরাসরি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন বলে মনে করেন তিনি৷

পাশাপাশি ডিএনএ পরীক্ষার নামে পুলিশ সময়ক্ষেপন করছে বলেও মনে করেন তিনি৷ কেননা, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল থেকে যেসব ডিএনএ আলামত সংগ্রহ করেছে, সেগুলোর সঙ্গে মেলানোর জন্য কোনো ডিএনএ ‘স্যাম্পল' বাংলাদেশ পুলিশের তরফ থেকে পাঠানো হয়নি বলে দাবি করেছেন বন্যা৷

ডয়চে ভেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আরো বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন বন্যা আহমেদ৷ তিনি জানান, বাংলাদেশ পুলিশ বা কর্তৃপক্ষ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ না রাখলেও তাঁর গতিবিধির দিকে তাদের নজর রয়েছে৷ তাই মার্কিন কংগ্রেসে তিনি যখন বৈঠক করেন, তখন সেখানে হাজির ছিল যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা৷ আবার গতবছর রয়টার্স তাঁর সাক্ষাৎকার গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র ছেলে এবং অন্যতম উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ রয়টার্সের প্রতিবেদকের সঙ্গে যোগাযোগ করে মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ জানান৷

ধর্ম নিয়ে লেখালেখি করা ব্লগারদের নিয়েও কথা বলেছেন বন্যা৷ তিনি মনে করেন, এ ধরনের লেখালেখি যাঁরা করছেন, তাঁদের এ সব বিষয়ে আরো গভীরভাবে জেনে, লেখাপড়া করে লেখালেখি করা উচিত৷

সরকারের উদাসীনতায় বাংলাদেশে মৌলবাদীদের হত্যাযজ্ঞের পরিধি বাড়ছে বলে মনে করেন বন্যা আহমেদ৷ এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, নাস্তিক ব্লগারদের খুন করা থেকে শুরু হলেও এখন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, সংখ্যালঘু হিন্দু, সমকামী অ্যাক্টিভিস্ট কেউই বাদ পড়ছে না বলে জানান তিনি৷ ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরো জটিল হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন বন্যা আহমেদ৷

পুরো সাক্ষাৎকারটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে

আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য