অবিস্মরণীয় চুম্বন
চুম্বন একটি তাৎক্ষণিক ব্যাপার, যা মানুষের আবেগ-অনুভূতির সঙ্গে জড়িত৷ আবার সিনেমা, শিল্পকলা ও ইতিহাসের অনেক মুহূর্ত বেঁচে রয়েছে শুধুমাত্র একটি চুম্বনে৷
‘গন উইথ দ্য উইন্ড’
১৯৩৯ সালের ছবি, ভাবা যায়? রেট বাটলারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ক্লার্ক গেবল ও স্কার্লেট ও’হারা-র ভূমিকায় ভিভিয়েন লেই৷ চিরকালের রোমান্টিক জুটি হিসেবে অমর হয়ে থাকবেন এই দু’জন, গৃহযুদ্ধের আমলে অ্যামেরিকার দক্ষিণাঞ্চলেরএকটি কাহিনী ও তার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা এই কাহিনীচিত্রের জন্য৷
সিনেমার প্রথম চুম্বন
‘দ্য কিস’ নামের স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিটি প্রথম প্রদর্শিত হয় ১৮৯৬ সালে৷ দুই মঞ্চাভিনেতা মে আরউইন ও জন সি. রাইস-এর এই বিশ সেকেন্ডের চুম্বনকে নিয়ে সে আমলে বিপুল বিতর্ক হলেও, সিনেমা নামের নতুন মিডিয়ামটি তার ফলে উপকৃতই হয়েছে৷
‘জ্যাক! আই’ম ফ্লাইং!’
‘টাইট্যানিক’ ছবিতে কেট উইনস্লেট ও লিওনার্ডো ডিকাপ্রিও-র সূর্যাস্তে জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে চুম্বন হাল আমলের সিনেমার সবচেয়ে রোমান্টিক দৃশ্য বলে পরিগণিত হতে পারে৷ অথচ সেটাই ছিল ‘রোজ’ আর ‘জ্যাক’-এর প্রথম ও শেষ মধুরাত্রি৷
‘জীবনের সবচেয়ে খারাপ দিন’
বিয়ের এগারো বছর পরে তাঁর বিয়ে সম্পর্কে বলেছিলেন ডায়ানা৷ ১৯৮১ সালের ২৯শে জুলাই তারিখে ডায়ানা ও প্রিন্স চার্লসের এই চুম্বনের ছবি দেখে মুগ্ধ হয়েছে বিশ্ববাসী, অথচ তখনই চার্লসের আরেক প্রেমিকা ছিল৷
ম্যাডোনা চুমু খেলেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স-কে...
আর ২০০৩ সালের এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস অবিস্মরণীয় হয়ে থাকল! প্রথমে ব্রিটনি স্পিয়ার্স ও ক্রিস্টিনা আগুইলেরা দু’জনেই নেচে-গেয়ে ম্যাডোনাকে তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷ পরে ম্যাডোনা তাঁর কনিষ্ঠাদের ধন্যবাদ জানান একটি নাতিদীর্ঘ চুম্বনের মাধ্যমে৷
যুদ্ধশেষের চুম্বন
১৯৪৫ সালের ১৪ই আগস্ট নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ার মার্কিন সেনা ও নৌসেনায় পূর্ণ৷ জাপান সদ্য আত্মসমর্পণ করেছে৷ সমবেত জনতার উল্লাস যেন চিরকালের জন্য ধরা পড়েছে (দুই অপরিচিতের?) এই চুম্বনে৷ আজও পর্যটকরা নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে এলে সেই সুবিখ্যাত চুম্বনটির অনুকরণ করেন৷
সোনালি চুম্বন
অস্ট্রিয়ার চিত্রকর গুস্তাফ ক্লিম্ট-এর অঙ্কণশৈলীর ‘স্বর্ণযুগ’-এর সবচেয়ে নাম-করা ছবি হলো এই ‘কিস’ বা ‘চুম্বন’, ১৯০৮ থেকে ১৯০৯ সালের মধ্যে আঁকা৷ ছবিটিতে ক্লিম্ট যে সোনালি রং ব্যবহার করেছেন, তা মধ্যযুগে গির্জার বেদির জন্য আঁকা ‘আইকন’ চিত্রকলার কথা মনে করিয়ে দেয়৷
ভ্রাতৃসুলভ
প্রাক্তন সোভিয়েত ব্লকের কম্যুনিস্ট নেতারা পরস্পরকে চুম্বন করে তাদের সমাজতান্ত্রিক ভ্রাতৃত্ব ঘোষণা করতেন৷ এই চুম্বন নাকি সাধারণ করমর্দ্দনের চেয়ে অনেক বেশি উষ্ণতা প্রকাশ করত৷ ছবিতে চুম্বনরত দুই মহারথী হলেন সাবেক পূর্ব জার্মানির রাষ্ট্রপ্রধান এরিক হনেকার ও সোভিয়েত কম্যুনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি লিওনিড ব্রেজনেভ৷
প্রতিবেদন: জিলকে ভ্যুন্শ/এসি
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী