1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবশেষে আয়েশা সিদ্দিকীকে তালাক দিলেন শোয়েব মালিক

৭ এপ্রিল ২০১০

চারদিন ধরে পত্রিকার শিরোনাম, টেলিভিশনে নানা প্রচারণা, রেডিওর খবর....সব কিছুর পর এবার অবসান হলো এক বিতর্কের৷ আর এই বিতর্কের অবসানটি করলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিক নিজেই৷

https://p.dw.com/p/MpDZ
শোয়েব মালিকছবি: AP

বুধবার তিনি তালাক দিলেন তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকীকে৷ তাঁকে প্রতারণা করা হয়েছিল – এই কারণ দেখিয়েই তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজে দস্তখত করলেন৷

টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার সঙ্গে শোয়েব মালিকের বিয়ের তারিখ ১৫ই এপ্রিল৷ আর বিয়ে উপলক্ষেই আত্মীয়-স্বজন নিয়ে দিন কয়েক আগেই হায়দ্রাবাদে এসে উপস্থিত হলেন শোয়েব মালিক৷ পত্র পত্রিকায় উঠলো বিয়ের খবর৷

আর এর সঙ্গে সঙ্গেই মামলা করে বসলেন আয়েশা সিদ্দিকী৷ তিনিও থাকেন একই শহরে, হায়দ্রাবাদে৷ ২০০২ সালে আয়েশা এবং মালিকের বিয়ে হয়েছিল টেলিফোনে৷ আর ঘর সংসার করার বদলে মালিক এখন অন্য মেয়েকে বিয়ে করছে ! মামলার অভিযোগ নামায় মালিকের বিরুদ্ধে প্রতারণা, হয়রানি, অপরাধ প্রবণতা এবং তাঁকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ধমকি দেবার কথা বলা হয়৷ এরপরই হায়দ্রাবাদের পুলিশ মামলার তদন্তের স্বার্থে শোয়েব মালিকের পাসর্পোট আটক করে৷ বলে দেয়, ঘটনার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তিনি ভারত ত্যাগ করতে পারবেন না৷

Sania Mirza
শোয়েব মালিকের বিবাহ বিচ্ছেদের পর কি ভাবছেন সানিয়া ?ছবি: AP

প্রথম দিকে কিন্তু আয়েশা সিদ্দিকীর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক এই খেলোয়াড়৷ কিন্তু পরে আর বেশি দূর এগুতে পারলেন না৷ মেনে নিলেন এই অভিযোগ, কেবল বললেন, ‘টেলিফোনে তাদের বিয়ে হয়েছিল ঠিকই৷ কিন্তু তখন যে মেয়ের ছবি পাঠানো হয়েছিল, সে মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকী নয়৷ তাঁর সঙ্গে ছবি দিয়েই প্রতারণা করা হয়েছে৷'

হায়দ্রাবাদের এক শীর্ষ রাজনীতিক, একটি নারীবাদী সংগঠনের নেতা এবং স্থানীয় মুসলিম নেতার মধ্যস্থতায় বিয়ে সংক্রান্ত জটিলতার অবসান হয়৷ অবশ্য আয়েশাও চেয়েছিলেন বিবাহ বিচ্ছেদ৷ তাই হলো৷ আয়েশার আইনজীবী বলছেন, ‘এখন আয়েশার দাবি পূরণ হয়েছে, তাই তিনি এই মামলাও তুলে নিয়েছেন৷'

এখন অপেক্ষা ১৫ এপ্রিলের৷ তবে এই বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত নাটকের অবসানের পর কনে সানিয়া মির্জার কোন মন্তব্য কিন্তু এখনো পাওয়া যায়নি৷

প্রতিবেদন : সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা : দেবারতি গুহ