অফিসে কতটুকু ঘুমানো ভালো?
অফিসে কাজের সময় ঘুমানোর কথা অনেক দেশে এখনো ভাবাই যায়না৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, অফিসে কাজের ফাঁকে একটু ঘুমিয়ে নিলে ক্লান্ত শরীর আবার চাঙা হয়ে ওঠে, অবসন্ন মস্তিষ্কও নতুন করে পূর্ণ কর্মক্ষমতা ফিরে পায়৷
বিশ্বখ্যাত কোম্পানিতে ঘুমের সুযোগ
গুগল, অ্যাপলের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিতেও কর্মীদের কাজের ফাঁকে ঘুমানোর অনুমতি রয়েছে৷ এসব প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক এক উদ্ভাবনের কথা ভালো করেই জানে, যেখানে বলা হয়েছে, কাজের ফাঁকে ১০-১৫ মিনিট ঘুমিয়ে নেয়া খুব ভালো৷
৩০ মিনিট ঘুমালে যা হয়....
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, কাজের ফাঁকে ৩০ মিনিট বা তার বেশি ঘুমালে শরীর কিছুক্ষণ আর চলতে চায়না, অনেকক্ষণ পর্যন্ত ঝিমুনি ভাব থাকে৷ তবে জেগে ওঠার ৩০ মিনিটের মধ্যেই এ অবস্থা ধীরে ধীরে কেটে যায়৷
এক ঘণ্টা ঘুমালে অনেক উপকার
রাতে ঘুম কম হলে অফিসে কাজের ফাঁকে একটু ঘুমিয়ে নেয়াই ভালো৷ বিজ্ঞানীরা এরকমই বলছেন৷ তাঁরা আরো বলছেন, রাতের ঘুমের ঘাটতি কাটাতে কেউ যদি দিনে ঘণ্টাখানেক ঘুমিয়ে নিতে পারেন তাহলে তাঁর আর দিনের বাকি সময়ে কাজ করতে কোনো অসুবিধা হবেনা৷ বরং দিনের এক ঘণ্টা ঘুম নাকি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, মানুষের চেহারা এবং নাম মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ায়৷
দেড় ঘণ্টার ঘুমে সৃষ্টিশীলতা বাড়ে
দেড় ঘণ্টা বা তার বেশি ঘুমালে ঘুম মোটামুটি পরিপূর্ণ হয়৷ অর্থাৎ হালকা থেকে গভীর ঘুমের পর্যায়ে যাওয়া, স্বপ্ন দেখা- এসব পর্ব পার করার জন্য দেড় ঘণ্টার ঘুমই যথেষ্ট৷ তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, দেড় ঘণ্টার মতো ঘুমালে নাকি কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় স্মৃতিশক্তি এবং সৃষ্টিশীলতা বাড়ে!
সবচেয়ে দরকারি পরামর্শ
অফিসে প্রয়োজনে একটু ঘুমিয়ে নেয়া ভালো৷ তবে দীর্ঘ ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে কাজের ক্ষতি করা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়৷ বিজ্ঞানীরাও এমন পরামর্শ দেননি৷ সুতরাং কাজে উদ্যম ফিরিয়ে আনার জন্য অফিসে যদি ঘুমান, পাশে ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখতে ভুলবেন না যেন!