অন্যের পুরুষাঙ্গ নিয়ে নতুন জীবন শুরু
যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গে ক্যানসার হয়েছিল৷ ফলে অস্ত্রোপচার করে ফেলেই দিতে হলো লিঙ্গ৷ সেই থেকে বড় হতাশায় ভুগছিলেন৷ অবশেষে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অন্য একজনের লিঙ্গ দেয়া হয়েছে তাঁকে৷ এমনও সম্ভব!
লিঙ্গ প্রতিস্থাপন
চিকিৎসা শাস্ত্রের অগ্রগতির ফলে এখন শরীরের অনেক অঙ্গই প্রতিস্থাপন, অর্থাৎ অন্যের দেহ থেকে এনে লাগিয়ে দেয়া যায়৷ পুরুষাঙ্গও যে এভাবে অন্যের কাছ থেকে নিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করা যাবে ১১ বছর আগেও তা ভাবা যেত না৷ ২০০৫ সালে প্রথমবারে মতো একজনের দেহ থেকে পুরুষাঙ্গ এনে আরেকজনের দেহে লাগিয়ে দেয়ার পর বোঝা যায় এমনও সম্ভব৷
প্রথম দৃষ্টান্ত চীনে
সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত মাত্র তিনজনের দেহে সফলভাবে পুরুষাঙ্গ প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়েছে৷ পুরুষাঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রথম দৃষ্টান্তটি দেখা যায় চীনে৷ ২০০৫ সালে চীনের এক ব্যক্তির দেহে অস্ত্রোপচার করে লাগানো হয়েছিল নতুন পুরুষাঙ্গ৷ কিন্তু ওই পুরুষাঙ্গ নিয়ে ভদ্রলোক স্বচ্ছন্দ বোধ না করায় কয়েক সপ্তাহ পরেই আবার অস্ত্রোপচার করে ফেলে দেয়া হয় সেই পুরুষাঙ্গ৷
অন্যের পুরুষাঙ্গ নিয়ে প্রথম সুস্থ ব্যক্তি
২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার এক ব্যক্তির দেহে পুরুষাঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়৷ সেই ব্যক্তি এখনো সুস্থ আছেন৷ লিঙ্গ প্রতিস্থাপনের পর সন্তানের জন্মও দিয়েছিলেন৷ তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই মারা যায়৷
এবার যুক্তরাষ্ট্রে
যুক্তরাষ্ট্রের থমাস ম্যানিং একদিন অফিসে কাজ করার সময় পড়ে গিয়ে খুব ব্যথা পেয়েছিলেন৷ ব্যথার চিকিৎসা করাতে গিয়ে জানা যায় তাঁর পুরুষাঙ্গে ক্যানসার হয়েছে৷ ক্যানসার থেকে বাঁচতে পুরুষাঙ্গটাই ফেলে দিতে হয়৷ সেই থেকে হতাশার জীবন কাটাচ্ছিলেন৷ গত সপ্তাহে ৬৭ বছর বয়সি থমাস ম্যানিংকেও অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে নতুন পুরুষাঙ্গ৷
নতুন জীবন
এক ব্যক্তি মৃত্যুর আগে নিজে লিঙ্গ দান করে যাওয়ায় ১৫ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করে সেই লিঙ্গ ম্যানিংয়ের দেহে জুড়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে৷ অস্ত্রোপচার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনের ম্যাসেচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে৷ সপ্তাহ খানেক পরও ভালোই আছেন থমাস ম্যানিং৷ জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে টের পাচ্ছেন তিনি আবার পূর্ণাঙ্গ পুরুষ হয়ে উঠেছেন৷