অন্যরকম কিছু গবেষণার খবর
আচ্ছা, ধনীরা কি খুব কিপটে হয়, ছোটখাটো চুরি করে? কিংবা হাই তোলা কি ছোঁয়াছে? একসাথে গান গাইলে কি বন্ধুত্ব হয়? এমনই কিছু প্রশ্নের উত্তর জানিয়েছেন গবেষকরা৷
একই সাথে হাই তোলা কি ভালোবাসার লক্ষণ?
বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একজনের ছোঁয়াচে অসুখ হলে আরেকজনও হয়৷ কিন্তু তাই বলে একসাথে হাই তোলা! হ্যাঁ, একজন হাই তুললে অপরজনও এক বা দুই মিনিটের মধ্যেই হাই তোলেন - এই তথ্যই জানিয়েছেন ইটালির রোম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা৷ গবেষণাটি করা হয়েছে ৪টি মহাদেশের মানুষের মধ্যে৷ সমীক্ষায় জানা গেছে দু’জন মানুষের মধ্যে সম্পর্ক যত গভীর, ঠিক তত তাড়াতাড়ি অন্যজন হাই তোলেন৷
বড়লোকরা এমন কেন?
সমাজের বিত্তবান লোকেরাই নাকি সাধারণ নিয়ম-কাননু মেনে চলতে চাননা৷ তাঁরা ট্রাফিক সিগনাল কম মানেন, বাড়তি খুচরো পয়সা ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখেন বা হাতছাড়া করতে চাননা৷ কেউবা আবার অফিসের ফটোকপি মেশিনের কাগজ বাড়িতে নিয়ে যান৷ অ্যামেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের করা গবেষণার এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে মার্কিন সাময়িকী ‘পিএনএএস’ এ৷ জানা গেছে, সাধারণ জনগণের চেয়ে নাকি ধনীদের মধ্যেই কৃপণতার মনোভাব বেশি৷
জার্মানরা ঘণ্টায় ৩২ হাজার কফির কাপ ফেলে দেয়
তাড়াহুড়ো বা সময়ের অভাবে অনেকেই সাধারণ কফিশপগুলো থেকে কাগজের কাপে (কফি টু গো) কফি নিয়ে যায় এবং পান করার পর ফেলে দেয়৷ জার্মান পরিবেশ সাহায্য সংগঠনের দেওয়া এক তথ্য থেকে জানা গেছে, জার্মানিতে ফেলে দেওয়া কাগজের কফির কাপের সংখ্যা ঘণ্টায় ৩২ হাজার৷
সপ্তাহের শুরুটা ভালো হলেও...
আজকের যান্ত্রিক জীবনের চাকরিজীবিরা সপ্তাহান্তে অনেকেই ভাবেন যে, আগামী সপ্তাহ থেকে শরীরের যত্ন নেবেন, স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন, খানিকটা ব্যায়াম করবেন কিংবা ধূমপান ছেড়ে দেবেন৷ সপ্তাহের শুরুতে সেই অনুযায়ী কাজ করলেও শেষ রক্ষা আর হয়না৷ অর্থাৎ প্রথম, দুই, তিনদিন করেই সপ্তাহান্তে আবার সেই একই অবস্থা৷ অ্যামেরিকার সানডিয়েগো-স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা থেকে এই তথ্য জানা গেছে৷
গান গেয়ে বন্ধুত্ব
যাঁরা একসাথে গান গায়, তাদের মধ্যে তাড়াতাড়ি বন্ধুত্ব হয় - এই তথ্য জানা গেছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক গবেষণা থেকে৷ যাঁরা আঁকেন, লেখেন বা গান গান অর্থাৎ এরকম সৃজনশীল কাজ করেন তাঁদের নিয়ে গবেষণাটি করা হয়েছিল৷ দেখা গেছে যাঁরা একসাথে গান গেয়েছেন তাঁরা বেশি তাড়াতাড়ি একে অপরের কাছাকাছি এসেছেন৷
ভালো পরিবেশে ভালো কাজ
অফিস ঘরের আবহাওয়া, বাতাস বা পরিবেশ ভালো হলে সে অফিসের কর্মীদের কাজে মনোযোগ বেশি থাকে৷ অ্যামেরিকার ‘হাভার্ড টিএইচ চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ’ এর করা এক গবেষণা থেকে জানা গেছে এই তথ্য৷ অফিসের কর্মীদের সপ্তাহের ছয়দিন ছয় রকম ঘরে কাজ করিয়ে এই তথ্য জানা গেছে৷ যাঁরা সবুজ সুন্দর পরিবেশে বসে কাজ করেছেন তাদের মনোযোগ ছিলো কাজে শতকরা ৬০ ভাগ বেশি, অন্যদের তুলনায়৷