‘অন্বেষণ খুব ভালো’
২৪ জুন ২০১৩গত এপ্রিল থেকে বাংলাদেশের একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক পরিবেশনা ‘অন্বেষণ'৷ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রেডিও অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখনো অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন, তবে ফেসবুক এবং চিঠিতে অনেক বেশি দর্শক জানিয়েছেন ‘অন্বেষণ' তাঁদের ভালো লাগছে৷ কিন্তু অনুষ্ঠানটি যে চ্যানেলের মাধ্যমে দর্শকদের কাছে যাচ্ছে সেই একুশে টেলিভিশনে প্রতিক্রিয়া কেমন? গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে অংশ নিতে এসে একুশের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মিটিয়ে গেছেন এ কৌতূহল৷ গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামে একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেয়ার পর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের ব্যস্ততার ফাঁকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, টেলিভিশন চ্যানেলটির মোট দর্শকের শতকরা ২০ ভাগ নিয়মিত ‘অন্বেষণ' দেখেন৷ নিঃসন্দেহে এটা খুব খুশির কথা৷ আরো ভালো লেগেছে এটা জেনে যে, দর্শকরা তাঁদের ভালো লাগার কথা একুশে টেলিভিশনকে ফোন করেও জানাচ্ছেন নিয়মিত৷ প্রিয় দর্শক, আপনাদের অনুভূতি জানানো অব্যাহত থাকলে ‘অন্বেষণ'-এর উৎকর্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা কম সময়েই সফল হবে বলে ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ মনে করে৷
একুশে টেলিভিশনের প্রধান মনে করেন, ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগ টেলিভিশনে নতুন কিছু আয়োজনের কথাও ভাবতে পারে৷ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক অনুষ্ঠানের গ্রহণযোগ্যতা দেখে তাঁর ধারণা হয়েছে, ভ্রমণ বিষয়ক, বিশেষ করে ইউরোপের দর্শনীয় স্থানগুলো নিয়ে একটা অনুষ্ঠান একুশেতে প্রচার করলেও ভ্রমণপিয়াসী বাঙালিরা সাদরে গ্রহণ করবেন৷
‘অন্বেষণ' একুশে টেলিভিশনে ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের একমাত্র পরিবেশনা নয়৷ প্রায় দু'বছর ধরে ইউরোপের অর্থনীতির খবর জানানো হচ্ছে একই চ্যানেলের মাধ্যমে৷ প্রতি বুধবার ‘একুশে বিজনেস'-এ থাকে ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের ছোট্ট এই আয়োজন৷ সাক্ষাৎকারে আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, ইউরোপের অর্থনীতির খবরও বাংলাদেশে খুব দর্শকনন্দিত৷
সাক্ষাৎকার: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ